
নয়া দিল্লি: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) সন্ত্রাসবাদী হামলাই (Terror Attack)। আর কোনও সন্দেহ রইল না, এবার স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল যে সোমবার, ১০ নভেম্বর দিল্লিতে হওয়া বিস্ফোরণ আসলে ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই ছিল। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেই এ কথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছুটে যান দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে। সেখানে দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আশ্বাস দেন যে এই হামলার পিছনে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এরপরই বিকেলে তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের শুরুতেই দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার নিন্দা করা হয়। কড়া ভাষায় এই হামলাকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলে উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই উল্লেখ করা হয়।
নিহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। যারা ঘটনাস্থলে সাহায্য করেছেন উদ্ধারকাজে এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসা করা হয় তৎপরতা ও দায়িত্ব পালনের জন্য। বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। পরপর উড়ে যায় বেশ কয়েকটি গাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের বাড়ি, দোকানের কাচও ভেঙে যায়।