
নয়াদিল্লি: এবার নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের। সংসদের বাদল অধিবেশনেই তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হতে পারে। তার আগে বিচারপতি ভার্মা পদত্যাগ করেন কি না, আপাতত সেদিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। যদি কেন্দ্র ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এনে এই বিচারপতিকে বরখাস্ত করে, তবে তিনিই হবেন প্রথম বিচারপতি, যাঁকে বরখাস্ত করা হবে।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে। সেইসময় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হতে পারে। এই প্রস্তাব আনার জন্য রাজ্যসভার ৫০ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। আর লোকসভার ১০০ জন সাংসদের সমর্থন দরকার। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ করাতে দুই কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। অর্থাৎ একাধিক দলের সমর্থন লাগবে প্রস্তাবটি পাশ করাতে।
চলতি বছরের মার্চে তাঁর বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন বিচারপতি ভার্মা। ওইদিন বিচারপতি ভার্মার বাসভবনের গুদামে আগুন লেগে গিয়েছিল। আগুন নেভাতে গিয়ে বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। একজন বিচারপতির বাড়িতে এত টাকা এল কোথা থেকে, তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। বিচারপতি ভার্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে সরানো হয়।
ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন বিচারপতির একটি অনুসন্ধান কমিটিও গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অনুসন্ধান কমিটি গত ৩ মে তাদের রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে টাকা পাওয়ার কথা জানায়। তবে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের পরই সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। বিচারপতির ভার্মার ইমপিচমেন্টের সুপারিশও করেন। সূত্রের খবর, বিচারপতি ভার্মা পদত্যাগের জন্যও বলেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কিন্তু, পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন তিনি। এবার তাঁকে বিচারপতির পদ থেকে বরখাস্ত করতে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার ভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র।