Manipur: মণিপুরের মানুষের জন্য ২১৭ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র, আর কী কী করেছে? খতিয়ান দিল কেন্দ্র
Manipur: স্বরাষ্ট্র দফতর রবিবার জানিয়েছে গত ৩ মে থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে মণিপুরে। গত আর্থিক বছরে (২০২৪-২৫) হিংসার ফলে যারা ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। সেইসব ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য ২১৭ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে কেন্দ্র।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে জ্বলছে মণিপুর। সেই আগুন নেভেনি এখনও। মাঝে মাঝে সাময়িক তাত কমলেও ফের দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। তার প্রভাবে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। অশান্ত মণিপুরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও বারবার উঠেছে প্রশ্ন! কেন এত দিন হয়ে গেলেও হিংসা কমানো যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। মণিপুরের জন্য কী পরিকল্পনা কেন্দ্রের? তার মধ্যেই এবার তথ্য প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র দফতর রবিবার জানিয়েছে গত ৩ মে ২০২৩ থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে মণিপুরে। গত আর্থিক বছরে (২০২৪-২৫) হিংসার ফলে যারা ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। সেইসব ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য ২১৭ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা জানান, ২৩ মাস আগে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পরপরই নিজেদের বাড়িঘর, গ্রাম থেকে বিতাড়িত অনেকে। সেই থেকে ৫০,০০০ এরও বেশি পুরুষ, মহিলা এবং শিশু বিভিন্ন জেলায় প্রায় ২৫০টি ত্রাণ শিবিরে বাস করছেন।
বর্তমানে ত্রাণ শিবিরে বসবাসকারী কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য বিভিন্ন জেলায় প্রিফেব্রিকেটেড বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। মণিপুর অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া অর্থবছরে (২০২৪-২৫) কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়তা পাওয়া গিয়েছে।
তিনি জানান, এই বছর মার্চ মাসে সেন্ট্রাল স্পনসরড স্কিম (CSS), স্কিম ফর স্পেশাল অ্যাসিসটেন্ট টু স্টেট ফর ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট (SASCI) এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে ১,৯২৬ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা পাওয়া গিয়েছে। এক মাসের মধ্যে এ পর্যন্ত পাওয়া সাহায্যের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সম্প্রতি SASCI-এর অধীনে মণিপুরকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। গত আর্থিক বছরে SASCI-এর অধীনে মোট ১,৪৩৭ কোটি টাকা প্রাপ্ত হয়েছে, যা কোনও আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। সহায়তার ষাট শতাংশ, ৮৬৯ কোটি টাকা, শুধুমাত্র মার্চ মাসেই প্রাপ্তি হয়েছে। SASCI তহবিলে PWD-এর চলমান এবং সম্প্রতি সম্পন্ন কাজের দায় পরিশোধের জন্য ৩২০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে, পিএমএওয়াই-গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ আবাসনের জন্য তহবিল হিসেবে ১৬৯ কোটি টাকা গৃহীত হয়েছে। স্কুল শিক্ষার জন্য প্রায় ৫২০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ৩০৫ কোটি টাকা এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ৪৫৮ কোটি টাকা গৃহীত হয়েছে।
প্রথমবারের মতো, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে স্বাভাবিক চারটি কিস্তির বাইরে অতিরিক্ত (পঞ্চম) কিস্তি গৃহীত হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ায়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ১০ মার্চ লোকসভায় ২০২৫-২৬ সালের রাজ্য বাজেট পেশ করেন, যেখানে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৩২,৬৫৭ কোটি টাকার সংশোধিত প্রাক্কলন থেকে ৩৫,১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।





