
নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ ছিল, অবশেষে তা এল সামনে। বিমান ওড়ার কয়েক মুহূর্ত পরই বন্ধ হয়ে যায় ইঞ্জিন। ভেঙে পড়ে বিমান। আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার রিপোর্ট এবং ককপিটে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথাবার্তা সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মানা করা হচ্ছে।
আহমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা ঘটার আগে মুহূর্তে ককপিটে দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথন নিয়েই চর্চা। ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল ও ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দরের কথোকথনে শোনা যাচ্ছে এক পাইলট অপরজনকে বলছেন, ‘ফুয়েল কাট অফ করলে কেন?’, উত্তরে অপরজন বলেন, ‘আমি তো করিনি।’
প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি উড়ান শুরু করতেই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ হয়ে যায়। এই রিপোর্ট নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। প্রশ্ন উঠছে হাজারো। সেই বিষয়েই কেন্দ্রীয় উড়ান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু বলেন যে ১২ জুনের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রাথমিক। এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেন কেউ উপনীত হওয়া উচিত নয়।
এই তদন্তকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলেই উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো-র প্রশংসা করেছেন স্বচ্ছ ও প্রফেশনাল তদন্তের জন্য।
উল্লেখ্য, এএআইবি-র রিপোর্টে ককপিটে পাইলটদের মধ্যে কথোপকথন উল্লেখ করা হলেও, ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ইচ্ছাকৃতভাবে অফ করা হয়েছিল নাকি যান্ত্রিক কারণে ঘটেছিল, তার উল্লেখ করা নেই।