শ্রীনগর: নতুন বছরের শুরুতেই উপত্যকায় ঝরেছে রক্ত। দফায় দফায় জঙ্গি হামলা চলেছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরিতে (Rajouri)। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনার পরই তৎপর কেন্দ্র। উপত্যকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বুধবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরে ১৮ কোম্পানি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ১৮০০ জওয়ান রাজৌরিতে মোতায়েন থাকবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক কোম্পানি জওয়ান পৌঁছে গিয়েছে। আজ আরও সিআরপিএফ বাহিনী পৌঁছবে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্প্রতিই জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে হিন্দু পরিবারের উপরে যেভাবে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের তরফে সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮ কোম্পানি সিআরপিএফ বাহিনী পাঠানো হচ্ছে রাজৌরিতে। পুঞ্চেও মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত সেনা। সূত্রের খবর, বুধবারই সিআরপিএফের ৯ কোম্পানি পৌঁছে গিয়েছে উপত্যকায়। রাতে আরও ৯ কোম্পানি সেনা পৌঁছনোর কথা। গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পীরপাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণে সন্ত্রাসবাদী গতিবিধির খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনের অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, বিগত তিন-চারদিন ধরে জঙ্গি হামলা হচ্ছে উপত্যকায়। রবিবার বিকেলে রাজৌরির আপার ডাংরি গ্রামের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়, আহত হন ছয়জন। জঙ্গি হামলার পরদিনই য়খন তল্লাশি অভিযান চলছিল, তখন ওই এলাকায় শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এক শিশু সহ দুইজনের মৃত্যু হয়, আহত হন পাঁচজন। এই ঘটনার পর রাজৌরিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন।
অন্যদিকে, বিগত তিন দিন ধরেই উপত্যকা জুড়ে বিশাল তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। শতাধিক সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ধরতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তল্লাশি চালাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও।