
নয়াদিল্লি: দেশের রাজধানীর প্রশাসন পরিচালনায় আমলাদের নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছে আপ পরিচালিত দিল্লি সরকার। এ নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লির মধ্যে লাগামহীন দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছিল দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে। বিষয়টি পৌঁছেছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেখানেই ধাক্কা খেল দিল্লি সরকার। দিল্লির মুখ্যসচিব পদে নরেশ কুমারের ৬ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির যে আবেদন কেন্দ্র করেছিল, তা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে দিল্লির মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আর কোনও বাধা রইল না।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বুধবার দিল্লির মুখ্যসচিব পদে নরেশের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সায় দিয়েছেন। তা হলে কোনও আইনভঙ্গ হবে না বলে মনে করছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে এ দিন আদালত প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন এক জন ব্যক্তিতে আটকে থাকছে সরকার?” এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন করেন, “আপনারা যখন এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে চাইছেন, করুন। কিন্তু আপনার কাছে আর কোনও অফিসার নেই যিনি মুখ্যসচিব হতে পারেন?” নরেশ কুমারের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সায় দিলেও, তার পর অপর কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রের প্রস্তাবিত অফিসার প্যানেল নিয়ে আলোচনা করে এক জনকে নিয়োগ করতে। কিন্তু কেন্দ্র বা লেফটেন্যান্ট গভর্নর কেন কোনও প্যানেলের প্রস্তাব করলেন না, সেই প্রশ্নও এ দিন তুলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।