নয়া দিল্লি: দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা (COVID) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। যা এ পর্যন্ত সর্বাধিক। এমতাবস্থায় সকলের মনে বাসা বেঁধেছে লকডাউন ভীতি। ফের কি কর্মনাশা লকডাউন শুরু হবে? এই প্রশ্নটাই ঘোরপাক খাচ্ছে সব মহলে। তবে সেই সংশয় উড়িয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, ‘বড় করে’ লকডাউন করার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। তবে স্থানীয় কনটেনমেন্ট জ়োন হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের সময় নির্মলা বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে কাজ চালাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত যে আমরা বড় করে লকডাউনের পথে হাঁটব না।” খোদ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের এই অংশ টুইট করে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিবৃতি অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ভারতে অংশীদারিত্বের কথা হয়েছে। এ দেশে আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নতি, জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
Finance Minister Smt. @nsitharaman shared the measures being taken by India to contain the spread of second wave of pandemic including the five pillared strategy of test-track-treat-vaccination and #COVID19 appropriate behaviour. (3/5) pic.twitter.com/2osJ2jvygh
— Ministry of Finance (@FinMinIndia) April 13, 2021
গত বছর মার্চ মাসে লকডাউন হয়েছিল সারা দেশে। যার ফলে বন্ধ হয়েছিল একের পর এক কারখানা। কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে বেতন না দেওয়া, একাধিক বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল পরিযায়ীদের। লকডাউনের ফলে হওয়া বিপত্তি সকলের বিলক্ষণ মনে আছে। অন্যদিকে করোনা রুখতে অন্যতম প্রধান অস্ত্র লকডাউন। তবে অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, বড় করে লকডাউন হবে না দেশে। প্রসঙ্গত করোনা রুখতে দেশ মূলত ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা রাখছে। তাই টিকাকরণে বারবার দ্রুততা বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে চলছে ‘টিকা উৎসব।’ অন্যদিকে ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। কেন্দ্র জানিয়েছে, পরবর্তীকালে বিদেশি অনুমোদিত আরও ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেবে তারা।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিপদে দেশ, একদিনেই করোনা আক্রান্ত প্রায় ২ লাখ, হাজারের গণ্ডি পার করল মৃতের সংখ্যা