দেড়গুণ বেশি আয় হবে কৃষকদের, MSP নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

MSP: অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) ক্যাবিনেট ব্রিফিংয়ে জানান, ১৪টি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হচ্ছে। ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। এবার প্রতি কুইন্টালে ২৩০০ টাকা উপার্জন করবেন কৃষকরা।

দেড়গুণ বেশি আয় হবে কৃষকদের, MSP নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2024 | 10:01 AM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের বড় সিদ্ধান্ত। ঘোষণা হল একাধিক ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price)। খরিফ ফসলের মরশুম শুরুর আগেই কৃষকদের বিশেষ আর্থিক সহায়তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।১৪টি ফসলের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। নায্য মূল্যের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ লাভ নিশ্চিত করা হয়েছে কৃষকদের। অর্থাৎ বর্ধিত এমএসপি(MSP)-তে কৃষকরা ফসলের দাম তো পাবেনই, একইসঙ্গে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ লাভও থাকবে।

বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) ক্যাবিনেট ব্রিফিংয়ে জানান, ১৪টি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হচ্ছে। ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। এবার প্রতি কুইন্টালে ২৩০০ টাকা উপার্জন করবেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, উৎপাদনের খরচের তুলনায় কেন্দ্রের ঘোষিত এমএসপি দেড়গুণ বেশি। 

অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদাই কৃষকদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী প্রথম সিদ্ধান্ত কৃষকদের জন্যই নিয়েছেন। আজকের ক্যাবিনেট বৈঠকেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কৃষকদের কল্য়াণে। খরিফ মরশুম শুরু হচ্ছে, কেন্দ্রের তরফে ১৪টি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে অনুমোদন দেওয়া হল।”

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ধান, জোয়ার, বাজরা, মিলেট, ভুট্টার ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি, অরহর, তুর  ডালেরও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সূর্যমুখী ও কাঠবাদামের এমএসপিও বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে বিতর্ক। কৃষক আন্দোলনের সময়ও এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি অন্যতম দাবি ছিল আন্দোলনকারী কৃষকদের। চলতি বছরের শেষভাগেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই রাজ্যগুলির একটা বড় অংশই কৃষি নির্ভর। এই পরিস্থিতিতে এমএসপি বৃদ্ধি ভোটের ফলাফলেও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।