
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ। পিঠে ব্যথা ও শিরদাঁড়ার আকৃতি নিয়ে সমস্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ ঘাড় বেঁকিয়ে মোবাইল ফোনের দিকে তাকানো বা ল্যাপটপে কাজ করায় স্পন্ডিলাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। মানসিক চাপ এবং ব্যায়ামের অভাবের কারণে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এতে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠের উপরের অংশে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কখনও কখনও স্নায়ু সংকোচনের কারণে হাতে ঝিঁঝিঁ ধরা বা দুর্বলতাও অনুভূত হয়। এমন হলে বাবা রামদেবের পরামর্শ দেওয়া কিছু আসন করা যেতে পারে, যা স্পন্ডিলাইটিসে উপশম দেয়।
যোগগুরু রামদেবের মতে, ভুজঙ্গাসন, মকরাসন, ক্যাট-কাউ, অর্ধমৎস্যেন্দ্রসন এবং প্রাণায়াম ঘাড়ে, কাঁধে ব্যথার জন্য উপশম দেয়। এই আসনগুলি ঘাড় এবং মেরুদণ্ডের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। নিয়মিত এবং সঠিকভাবে এই যোগ অভ্যাস করা হলে, ব্যথা এবং ঘাড় শক্ত হওয়া ধীরে ধীরে কমে যায়।
জেনে নেওয়া যাক ৫টি যোগাসন সম্পর্কে, যা সার্ভিকাল স্পন্ডেলাইটিসের জন্য উপকারী।
মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয়।
ঘাড়ের পেশিগুলোর স্ট্রেচ হয়।
শক্ত ভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়।
আরামদায়ক
ঘাড় এবং কাঁধের পেশির উপর চাপ কমায়
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
ঘাড়ের শক্ত ভাব কমে যায়।
মেরুদণ্ডও নমনীয় হয়ে ওঠে।
এই আসন মেরুদণ্ডকে নমনীয় হয়।
ঘাড়ের চারপাশের স্নায়ুগুলিকে শিথিল করে।
কাঁধের ব্যথা ধীরে ধীরে উপশম হয়।
কপালভাতি ও অনুলোম-বিলোমের মতো প্রাণায়াম।
স্নায়ুগুলো ভালো অক্সিজেনের সরবরাহ পায়।
মানসিক চাপ কমে।
ঘাড় এবং কাঁধের ব্যথাও কমতে শুরু করে।