
রাঁচি: অবশেষে শুক্রবার কাটতে চলেছে ঝাড়খণ্ড সংকট। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি), ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা দলের নেতা চম্পাই সোরেন। বিহারের পর, এই রাজ্যেও এনডিএ ক্ষমতা দখল করবে কিনা, এই নিয়ে জল্পনা চলছিল। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে, চম্পাই সোরেনকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ। তবে, এখানেই খেলা শেষ হচ্ছে না। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। কাজেই, এখনও বিজেপির সামনে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য যথেষ্ট সময় রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কিন্তু খোঁজ নেই হেমন্ত সোরেনের দলের চার বিধায়কের।
গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সেই থেকে ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রীহীন। ফলে, গত দুদিন ধরে রাজ্যে চরম বিভ্রান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার, জোট শরিকদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপাল তাঁর দাবি মেনে নিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রাজ্যপালের মুখ্য সটিব নীতিন মদন কুলকার্নি বলেছেন, “আমরা তাঁকে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এখন তাঁরা কবে শপথ নেবেন সেই সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন।” রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোটে রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআই (এমএল) এবং আরজেডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাজেশ ঠাকুর বলেছেন, “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা, ঝাড়খণ্ডে প্রবেশের আগে, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন।”
সরকার গঠনের দাবি জানানোর পরও, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চম্পাই সোরেনকে নিয়োগে বেশ কিছুটা দেরি করেন রাজ্যপাল। তার মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যান ওই চার বিধায়ক। ফলে, বিহারের পর এই রাজ্যেও ক্ষমতা দখল করতে পারে এনডিএ, এমন আশঙ্কা তৈরি হয় ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের মনে। বিজেপি যাতে ঘোড়া কেনাবেচা না করতে পারে, তার জন্য জোটের বিধায়কদের হায়দরাবাদে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এর জন্য দুটি চার্টার্ড প্লেনও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাতে, প্রবল কুয়াশার জেরে সেই বিমানদুটি উড়তে পারেনি।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, রাঁচির এক বিশেষ পিএমএলএ আদালত ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে এক জমি কেলেঙ্কারির মামলায় একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতারের পর, ১০ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু, আদালত তাতে রাজি হয়নি।