ভোপাল: মানত পূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় মন্দিরে একটি ছাগল বলি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্ত ওই মৃত ছাগলটির একটি চোখই তাঁর মৃত্যুর কারণ হল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২ জুলাই) রাতে, মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুর জেলায়। ওই ব্যক্তির মৃত্যুরপর থেকে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জনে এই মৃত্যুর পর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কেউ কেউ এমনও দাবি করছেন, ছাগলটিকে বলি দেওয়ার কর্মফল ভুগতে হল ওই ব্যক্তিকে।
মৃত ব্যক্তির নাম বগড় সাই, বয়স ৫০ বছর। সুরজপুর জেলার মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর মনের ইচ্ছা পূরণ হওয়ায়, রবিবার রাতে স্থানীয় খোপা ধাম মন্দিরে তিনি একটি ছাগল বলি দেন। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে খোপা ধামে গিয়েছিলেন বগড় সাই। রীতি মেনে ছাগলটিকে বলি দেওয়া হয়। বলিদানের পর, প্রতিবেশি ও আত্মীয়স্বজনরা প্রসাদ হিসাবে ছাগলটির মাংস ভক্ষণ করেন।
বলির পর গ্রামে রীতিমতো এক ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছিল। অন্য সকলে রান্না করা ছাগলের মাংস খেলেও, এক অদ্ভুত ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বগড়। তিনি জানিয়েছিলেন, ছাগলটির চোখ তিনি খাবেন। উপস্থিত সকলে, বগড়কে এই কাজ না করার জন্য বোঝান। কিন্তু, তিনি তাতে রাজি হননি। রান্না করা মাংস ছেড়ে, না রান্না করা ছাগলের চোখই তিনি খেতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চোখ বগড়ের গলায় আটকে গিয়েছিল।
গলায় চোখটি আটকে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারায় বগড়। বগড়ের সঙ্গীরা সেটি গলা তাঁর থেকে বের করার জন্য, তাঁর পিঠে চাপড় মারেন। জল খাইয়ে সেটি গলা থেকে নীচে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর বগড়কে স্থানীয় সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানান, আসার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে। কারণ যা-ই হোক, ছাগলটির চোখের জন্যই প্রাণ হারালেন বগড় সাই।