Video: সপাং সপাং চাবুকের বাড়ি, ‘আনন্দ’ পেলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 26, 2022 | 1:58 PM

Chhattisgarh CM Bhupesh Baghel gets Whipped: মুষ্টিবদ্ধ হাত বাড়িয়ে রেখেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। আর আরেক ব্যক্তি তাঁর হাতে সপাং সপাং করে চাবুক মারছেন। কেন?

Video: সপাং সপাং চাবুকের বাড়ি, আনন্দ পেলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল
চাবুক মরা হচ্ছে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীকে

Follow Us

রায়পুর: মুষ্টিবদ্ধ হাত সামনে বাড়িয়ে রেখেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। আর আরেক ব্যক্তি তাঁর হাতে সপাং সপাং করে চাবুক মারছেন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দীপাবলির পরের দিন, ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলায় দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। কেন হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে চাবুকপেটা করা হল? ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গ জেলার জাজাঙ্গিরি গ্রামে। সেখানে এদিন গৌর-গৌরীর পূজায় অংশ নিয়েছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে স্বেচ্ছায় ওই চাবুকের আঘাত সহ্য করেন ভূপেশ বাঘেল। ছত্তিশগড়ের লোকায়ত বিশ্বাস অনুযায়ী গৌর-গৌরীর পূজোর দিন চাবুকের আঘাত, দুর্ভোগ, শারীরিক সমস্যা দূর করে এবং সমৃদ্ধি আনে।

মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল অবশ্য এই প্রথম এই লোকাচারে অংশ নিলেন, তা নয়। প্রতি বছরই এই চাবুকের আঘাত খেতে জাজাঙ্গিরি গ্রামে আসেন তিনি। রাজ্যের সমৃদ্ধি কামনা করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে জাজাঙ্গিরি গ্রামে ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী বাদ্য গরবা বাজার সুরে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়েছিল। লোকায়ত সুরের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম। দীপাবলির পরের দিন, দুর্গ জেলার কুমহারিতে খুব ভোরে গৌর-গৌরীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মূলত আদিবাসী সমাজই এই গৌর-গৌরীর পূজা করে।


প্রতি বছরের মতো এবারও সকাল সকালই জাজাঙ্গিরি গ্রামে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। গৌর-গৌরী পূজায় অংশ নেন। রাজ্যের মানুষের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তারপর হয় ওই চাবুকাঘাত পর্ব। দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ছত্তীসগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আলোর উৎসব দীপাবলি এভাবেই আপনাদের জীবনকে আলোকিত করে রাখুক। দীপাবলি উপলক্ষে লোকায়ত এই ঐতিহ্যে অংশ নিয়ে আমি খুবই আনন্দ পাই। যতবারই আমি আপনাদের মাঝে আসি, দীপাবলির আনন্দ ভাগ করে নিই, আমার মন খুশিতে ভরে যায়। আপন লোকেদের সঙ্গে গৌর-গৌরীর পুজো করলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়। আপনার জীবনে সর্বদা সুখ-সমৃদ্ধি আসুক, এটাই কামনা করি।”

Next Article