AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child death: নিউমোনিয়া সারাতে ৫ মাসের শিশুকে গরম রডের ছ্যাঁকা! পরিণতি মর্মান্তিক

Madhya Pradesh News: স্থানীয়দের বিশ্বাস, গরম রডের ছ্যাঁকা দিলে নিউমোনিয়া সেরে যায়। এই বিশ্বাস মোতাবেক শাহদল জেলায় শিশুদের নিউমোনিয়া সারাতে শিশুকে গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়া এবং পরে সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার খবর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু, তারপরেও যে কুসংস্কার বা এই রীতি ঘোচেনি, তা ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।

Child death: নিউমোনিয়া সারাতে ৫ মাসের শিশুকে গরম রডের ছ্যাঁকা! পরিণতি মর্মান্তিক
প্রতীকী ছবি।
| Updated on: Feb 04, 2024 | 10:18 PM
Share

শাহদল: একবিংশ শতকেও মধ্যযুগীয় বর্বরতা ঘোচেনি। আজও কুসংস্কারের বলি হচ্ছে শিশুরা। ফের নিউমোনিয়া সারাতে দুধের শিশুর পেটে দেওয়া হল গরম রডের ছ্যাঁকা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, গরম রডের ছ্যাঁকা দিলে নিউমোনিয়া সেরে যায়। যদিও বাস্তবে সেটা ঘটেনি। গরম ছ্যাঁকায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের শাহদোল জেলায়। এই নিয়ে গত দু-মাসে একইভাবে ৫ শিশুর মৃত্যু হল।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম ঋষভ কোল। শাহদোল জেলার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির বয়স হয়েছিল মাত্র ৫ মাস। গত কয়েকদিন ধরেই সে অসুস্থ ছিল। গত সোমবার শিশুটিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা রামদাস কোল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শিশুটিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন শিশুটির মৃত্যু হয়।

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. একে লাল জানান, শিশুটির প্রথমে নিউমোনিয়া হয়েছিল। তারপর সেপ্টিসেমিয়া হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির পেটে বেশ কয়েকটি দাগ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি কীসের দাগ স্পষ্ট নয়। তবে নিউমোনিয়া সারাতে শিশুর পেটে গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনা জেলায় প্রচলিত রয়েছে। ফলে এই শিশুটিও সেরকম কোনও কুসংস্কারের শিকার হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে, আশাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করার কথা বলা হয়েছে বলেও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শাহদল জেলায় শিশুদের নিউমোনিয়া সারাতে গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়া এবং পরে সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার খবর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু, তারপরেও যে কুসংস্কার বা এই রীতি ঘোচেনি, তা ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।