পটনা: একমাত্র ছেলের জন্মদিন। ধুমধাম করেই পালন করা হবে। সেই মতোই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আত্মীয়-স্বজনদের। বাড়িতে সব আত্মীয়-স্বজনরা এসে গিয়েছেন। কেক কাটার জন্য ভিতরের ঘর থেকে বাবাকে ডাকতে গিয়েছিল ছেলে। দরজা খুলতেই যা দেখল, তাতে পাথর হয়ে গেল।
ছেলের জন্মদিনে আত্মহত্যা করলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুরে। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়, তার মাঝেই ভিতরের ঘরের সিলিং থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃত ব্যক্তির নাম সুধাংশু শেখর (৪৫)। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আর্থিক চিন্তায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হয়েছিল আগেরদিন। শনিবার রাতে অফিস থেকে ফেরার পরই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, সমস্তিপুরের বিদ্যুৎ বিভাগে কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতিই তিনি সাইবার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ান। ছেলের জন্মদিন করা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয় দিন কয়েক আগে। ঘটনার দিন, ওই ব্যক্তি অফিসে গিয়েছিলেন। স্ত্রী পুনম সারাদিন রান্না নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। রাতে যখন অফিস থেকে ফেরেন ওই ব্যক্তি, ততক্ষণে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা চলে এসেছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ফ্রেশ হয়ে আসছেন। এরপর আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও, ওই ব্যক্তি ঘর থেকে বেরোননি। এরপরই শিশুটি বাবাকে ডাকতে যায় কেক কাটার জন্য। দরজা খুলতেই দেখে, সিলিং থেকে ঝুলছে দেহ।
পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে।