নয়া দিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ফের একবার উস্কানি দেওয়া শুরু করল চিন। ঠিক যে সময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ভারত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক সেই সময় লাদাখের আকাশে নতুন করে মহড়া দেওয়া শুরু করেছে চিনা বায়ুসেনা। মঙ্গলবার এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। যদিও ভারতের তরফেও সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি আঁটোসাঁটো করে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতেই সীমান্তে এহেন সক্রিয়তা শুরু করেছে ড্রাগন বাহিনী।
সেনা সূত্রে খবর, সোম এবং মঙ্গলবার দু’দিনই পূর্ব লাদাখের উল্টোদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের এক স্কোয়াড্রন অর্থাৎ ২০-২২ টি জে-১১ মডেলের যুদ্ধবিমান মহড়া দিয়েছে। চিনের এই পদক্ষেপ থেকেই কার্যত স্পষ্ট, বেজিং নতুন করে ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। গালোয়ান সংঘর্ষের সময়ও যে উচ্চতা বিশিষ্ট এলাকাগুলি থেকে চিনা বায়ুসেনা চোখ রাঙানোর চেষ্টা করেছিল, এই ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ তারা মহড়া চালায় বলে খবর।
বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় ভারতীয় সেনার তরফ থেকেও। তৎপরতা শুরু হয় ভারতের উচ্চতা বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান ঘাঁটিগুলিতে। নর্দান এবং ওয়েস্টার্ন কমান্ডের হাতে থাকা রাফাল, মিগ-২৯ এবং সুখোইয়ের মতো যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রস্তুত করা হয়। কেননা চিনের এহেন কার্যকলাপ যে নতুন করে উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের কোউইনের পালটা বাংলার ‘বেনভ্যাক্স’, টিকাকরণে গতি আনতে নতুন পোর্টাল রাজ্যের
কিন্তু মাসকয়েক স্থিতাবস্থার পর কেন ফের এহেন চেষ্টা বেজিংয়ের? কূটনৈতিক মহল জানাচ্ছে, যেভাবে গোটা বিশ্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাব বিস্তার করছে তাতে নতুন করে নজর ঘুরেছে করোনার উৎপত্তিস্থল উহানের দিকে। ভাইরাসটিকে চিন আসলেই জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে, এই তত্ত্বের সমর্থনে একাধিক যুক্তিও উঠে আসছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে চিন যে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করবে সেটাই স্বাভাবিক। আর চিনের তরফেও ক্রমাগত সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে….’, ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব, বাড়ল ঘর ওয়াপসির জল্পনা