
অমরাবতী: যেখানে শিক্ষকদের দায়িত্ব পড়ুয়াদের হাতে করে গড়ে তোলা, সেখানেই শিক্ষকের লালসার শিকার নাবালিকা পড়ুয়া। স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধেই উঠল নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। প্রিন্সিপালের শারীরিক নির্যাতনে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের ডঃ বিআর আম্বেদকর কোনাসিমা জেলায়। একটি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়রাজু নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন চার মাস আগে। ওই নাবালিকাকে হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর কুকীর্তির কথা কাউকে জানালে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে। ভয়ে কিশোরীও মুখ খোলেনি।
এদিকে, বিগত তিন মাস ধরে পিরিয়ডস না হওয়ায়, কিশোরীর মা-বাবা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মেডিক্য়াল টেস্টে জানা যায় যে কিশোরী তিন মাসের গর্ভবতী। এরপরই যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন সে সব খুলে বলে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা পুলিশে অভিযোগ জানান। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল।
অন্যদিকে, তেলঙ্গানাতেও ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে কুকুর কামড়েছিল। তাই হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিল। বাড়িতে সেদিন একাই ছিল নাবালিকা। ওই সময়ে বাড়িতে তাঁর বাবা নাবালিকার উপরে চড়াও হয়। নাবালিকা বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁকে ধর্ষণ করে মদ্যপ বাবা। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে, দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে নাবালিকা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাবা।