Bangla NewsIndia Congress, BJP Discuss on Ethics Committee Report over Mahua Moitra's Cash for Query Case
Lok Sabha Discussion on Ethics Committee Report: ‘সংবিধান ভাঙা হচ্ছে’, মহুয়া ইস্যুতে সংসদে সরব তৃণমূল
Mahua Moitra Cash for Query Case: শুক্রবার দুপুর ১২টায় লোকসভায় পেশ হয় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। সংসদে এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরই হই-হট্টগোলের কারণে অধিবেশন ২ ঘণ্টার জন্য মুলতুবি হয়ে যায়।
Follow Us
নয়া দিল্লি: সংসদে শুরু হল এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা। শুক্রবার দুপুর ১২টায় লোকসভায় পেশ হয় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। সংসদে এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরই হই-হট্টগোলের কারণে অধিবেশন ২ ঘণ্টার জন্য মুলতুবি হয়ে যায়। দুপুর ২টো থেকে অধিবেশন ফের শুরু হয়।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, দেশের ন্যায়ালয়গুলিতেও মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের বলতে সুযোগ দেওয়া হয়। আমি অনুরোধ করব মহুয়া মৈত্রকেও বলার সুযোগ দেওয়া হোক। নতুন সংসদ ভবনকে কলঙ্কিত হতে দেবেন না।
মণীশ তিওয়ারি বলেন,৩১ বছর হয়ে গিয়েছে আইনজীবী হিসাবে। অনেক সময়ই তাড়াহুড়ো করতে হয়। কিন্তু এই প্রথম হয়তো বিনা রিপোর্ট না দেখেই আলোচনায় অংশ নিচ্ছি। ১২টায় রিপোর্ট পেশ করে ২টো সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। অধীরজির কথার সূত্র ধরেই বলছি, একটু সময় দিলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ত না। একটি পার্টি কী সুপারিশ করতে পারে কার সাংসদ পদ থাকবে? অভিযুক্তকে তাঁর বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে?
তিনদিন সময় দেওয়া হোক এথিক্স কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করার জন্য। দাবি কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারির।আমি দাবি জানাচ্ছি, মহুয়া মৈত্রকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া হোক।
বিজেপি সাংসদ হীনা ভি গাভিত বলেন, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হওয়ার পর ৬১টি প্রশ্ন করেছেন। তার মধ্যে ৫০টিই দর্শন হিরানন্দানির সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। বেঙ্গালুরু, দুবাই, নেপাল থেকে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা হয়েছিল। মহুয়া মৈত্র নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে উনি সংসদীয় ইমেইল আইডি, পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন। একইদিনে মহুয়া মৈত্রের অ্যাকাউন্ট দিল্লি, বেঙ্গালুরু সহ একাধিক জায়গা থেকে লগ ইন হয়েছিল। এতে বিশ্বের কাছে বার্তা যাচ্ছে যে সাংসদরা নিজেরা প্রশ্ন করেন না, নিজের বক্তব্য লেখেন না আর টাকা দিলে জোরে জোরে তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। মহুয়া মৈত্রের জন্য বাকি সাংসদদের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।
কল্যাণ পটেল দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কমিটির রিপোর্ট সঠিক নয়। আগেই রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক। তৃণমূলের বক্তা হিসাবে তাঁকে এই সুযোগ দেওয়া হোক।”
মহুয়াকে বলতে দিতে নারাজ লোকসভার স্পিকার। তিনি বলেন, এর আগে স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১০ জন সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করার সময় তাঁদের বলতে দেননি। সেই পরম্পরাই বজায় রাখা হচ্ছে।
অধীর চৌধুরী বলেন, মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে।
তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পক্ষপাতমুক্ত বিচার হয়নি। আমরা যখন কোনও ব্যক্তির ভবিতব্য় বিচার করি, তখন আমরা বিচারকের ভূমিকায় থাকি। আমরা আইনানুযায়ী দাবি জানাচ্ছি মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক।”
কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দর্শন হিরানন্দানি অভিযোগ এনেছেন মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ সামনে এনেছেন জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সঙ্গে টেনে এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে। কিন্তু দর্শন হিরানন্দানিকে প্রশ্ন করার জন্য ডাকাই হয়নি। যিনি অভিযোগ এনেছেন, তাঁর বয়ানই গ্রহণ করা হল না। এটা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাতেও এর উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধান ভাঙা হচ্ছে।”
দর্শন হিরানন্দানিকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে না? প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহুয়া মৈত্র লগ ইন আইডি দিয়েছিলেন। পাসওয়ার্ড তাঁর কাছেই ছিল। আমার পাসওয়ার্ডও মনে নেই। আমার ব্যক্তিগত সচিবের কাছে রয়েছে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মহুয়া মৈত্রকে অন্তত ৫-৭ মিনিট বলতে সুযোগ দেওয়া হোক।
স্পিকারের প্রশ্ন, আপনারা কি সহমত যে সংসদে আপনারা নিজেরা প্রশ্ন করেন না? অন্য় কেউ প্রশ্ন করে দেন?
বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারাঙ্গি বলেন, সাংসদ পদ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। বিরোধীদের প্রশ্ন করছি, মহুয়া মৈত্র যা করেছে, তা কি সঠিক? এথিক্স কমিটিতে মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। উনি অসভ্যতা করেছিলেন। বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সাংসদদের মতামত গ্রহণ করা হল।
এথিক্স কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হল।
দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন মহুয়া। অসংসদীয় কাজ করেছেন মহুয়া মৈত্র, ঘোষণা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর।