নয়া দিল্লি: গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের গদি হাতছাড়া হয়েছে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে লোকসভায় বিরোধী দলের মর্যাদাও টিকিয়ে রাখতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন দলটি। তারপর এক এক করে দেশের একাধিক রাজ্য থেকে পাত্তারি গোটাতে হয়েছে কংগ্রেসকে। এই আবহে প্রথমে হিমাচল প্রদেশ, তারপর কর্নাটকের নির্বাচনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। আর এই দাক্ষিণাত্য জয়ই কংগ্রেসের ‘হাত’ শক্ত করেছে। দলে ফিরেছে আত্মবিশ্বাস। আর এই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই ২৪-র নির্বাচনের লক্ষ্য়ে জমি শক্ত করতে মাঠে নেমে পড়েছে শতাব্দী প্রাচীন দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছু রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য জমি তৈরি করতেই নির্বাচনমুখী রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে আগামী ২৪ মে বৈঠক করবে কংগ্রেস।
এই বছরেই তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে দুটি রাজ্য কংগ্রেসের হাতে। তবে তার মধ্যেও এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পিছনে পড়ে রয়েছে ইডি-সিবিআই। আর রাজস্থানে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের নজর কাড়তে সেখানে নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই ধরনা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সচিন পাইলট। ফলে নির্বাচনের আগে সেখানে কংগ্রেস শিবিরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। আর গত বিধানসভা নির্বাচনে মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করেছিল ঠিকই। তবে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে বিবাদ দেখা যায়। ১৫ মাস সরকারে থাকার পর ২০২০ সালে সরকার পড়ে যায়। ২২ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর মধ্য প্রদেশ কংগ্রেসের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবর্তে সরকার গঠন করে বিজেপি। তাই সব বিরোধ নিষ্পত্তি করে এখন থেকেই জমি করতে প্রস্তুত কংগ্রেস।
চার রাজ্য়ে কংগ্রেসের খামতি সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে আগামী ২৪ মে তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। আর এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আর দাক্ষিণাত্য জয়ের পরই বাকি রাজ্যের নির্বাচনে মাঠ তৈরির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল কংগ্রেস।