চেন্নাই: মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য় করে ফেঁসেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় ফৌজদারি মানহানির মামলা(Criminal Defamation Case)। সম্প্রতিই ওই মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। সুরাট আদালতের তরফে তাঁকে দুই বছরের সাজা ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যে বিচারক রাহুল গান্ধীকে ওই মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন, তাঁর জিভ কেটে নেওয়ার হুমকি দিলেন এক কংগ্রেস নেতা(Congress Leader)। ইতিমধ্যেই ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই কংগ্রেস নেতার নাম মণীকন্দন। তিনি তামিলনাড়ুর কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। শুক্রবার তামিলনাড়ুর দিন্দিগুলে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ করছিলেন কংগ্রেসের জনজাতি-উপজাতি শাখা। সেখানেই মণীকন্দন বলেন, “২৩ মার্চ সুরাট কোর্টের বিচারক আমাদের নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। শুনে রাখুন বিচারক এইচ ভর্মা, যখন কংগ্রেস ক্ষমতা আসবে, আমরা আপনার জিভ কেটে নেব।”
কংগ্রেস নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্য়ের পরই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে নির্বাচনী প্রচারের মাঝে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সমস্ত চোরেদের পদবি মোদী হয় কেন? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। রাহুলের এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েই মানহানির মামলা করেন সুরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী। তিনি দাবি করেন, এই মন্তব্য করে গোটা মোদী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল গান্ধী। গত মাসে সুরাটের একটি আদালতের তরফে ওই মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্য়স্ত করা হয় এবং দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। আদালতের রায়দানের পরদিনই নিয়ম অনুযায়ী সাংসদ পদ খোয়ান রাহুল। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে পথে নামে কংগ্রেস। একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলও রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ান।