নয়া দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শনিবার ফের কংগ্রেসের তরফে এই দাবি জানানো হল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন কংগ্রেসের সাধরণ সম্পাদক তথা মিডিয়া-ইন-চার্জ জয়রাম রমেশ। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে পরাজিত করতে জোটের লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকা জরুরি বলেও জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জয়রাম রমেশ বলেন, “কংগ্রেস চায়, মমতাজি রাহুলের যাত্রায় যোগ দিন। খাড়্গে, রাহুল, সনিয়াজি মমতাদিকে যথেষ্ট সম্মান করেন। মমতাদির লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। আমাদেরও একই লক্ষ্য। বিজেপিকে হারানোর লড়াইয়ে মমতাদির থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
জয়রাম রমেশের এই ধরনের মন্তব্য অবশ্য নতুন নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় একা লড়াইয়ের ঘোষণার পরই কার্যত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। ‘মমতা ছাড়া ইন্ডিয়া জোট কল্পনাই করা যায় না’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু, তারপরেও যে বরফ গলেনি, তা একপ্রকার স্পষ্ট। শুক্রবারই রাজভবনে এক অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা জানান, তাঁকে ফোন করেননি খাড়্গে। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, খাড়্গে তাঁকে ফোন করেননি। কেবল সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী মেসেজ করেছিলেন। দুর্ঘটনার পর তিনি কেমন আছেন জানতেই সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা মেসেজ করেন। কিন্তু, এদিন জয়রাম রমেশ ফের উল্টো দাবি জানালেন। সবমিলিয়ে, দুই শরিক দলের মধ্যের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের আসন-রফা নিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্বের সৃষ্টি। বাংলায় কংগ্রেসকে ২টি আসন ছাড়া হবে বলে প্রথম থেকেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ১০-১২টি আসনের দাবিতে অনড় ছিল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত বাংলায় একা লড়াইয়ের ঘোষণা করে তৃণমূল। এর মধ্যে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বাংলায় প্রবেশ করার কথা তাঁকে জানানো হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।