নয়া দিল্লি: বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইন্দো-চিন সম্পর্ক থেকে শুরু করে পেগাসাস-যাবতীয় বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। পাল্টা জবাব দেওয়া হয় বিজেপি(BJP)-র তরফেও। এবার আরও এক ধাপ আক্রমণ বাড়িয়ে রবিবার কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করলেন, ভারতীয় সংসদে চিন ইস্যু (China Issue) নিয়ে কথা বলতেই দেওয়া হয় না বিরোধীদের।
রবিবার লন্ডনের হাউনস্লো-তে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানেই তিনি বলেন, “এই সরকার দেশে বিরোধীদের ধারণাটাই রাখতে দিতে চায় না। একই জিনিস হয় সংসদেও, চিন যে আমাদের জমি দখল করে বসে রয়েছে, এই বিষয় নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতে চাইলে, সেটাও করতে দেওয়া হয় না। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশ একটা মুক্ত দেশ। আমরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গর্ব করি এবং একে অপরকে সম্মান করি। কিন্তু তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা সংবাদমাধ্যমেই তার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। সেই কারণেই আমরা ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলাম।”
সংসদে বিরোধীদের কোনও দাবি বা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয় না, এই অভিযোগ তুলেই বিজেপিকে আক্রমণ করে ওয়েনাডের সাংসদ বলেন, “সরকার বিরোধীদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই চায় না। এটা সেই ভারত নয়, যা আমরা চিনতাম। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ কেমব্রিজ, হার্ভার্ডে বক্তব্য রাখতে পারেন, কিন্তু ভারতীয় কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন না।”
রাহুল অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে সবথেকে বড় সমস্যাগুলি হল বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার। গৌতম আদানি ও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়েও তিনি পরোক্ষে আক্রমণ করে বলেন, “একজন বা দুইজন ব্যক্তিই দেশের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতিই তিনি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট দেখতে পাবেন। এই সম্পত্তি দেশের সাধারণ মানুষের থেকেই এসেছে। নিজের রাজনৈতিক যোগের কারণে নির্দিষ্ট এক ব্যক্তি টাকা রোজগার করছেন। দেশের সাধারণ মানুষ কী বলছেন, তা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যম এখন শুধু রাগ, হিংসা, বলিউড বা ক্রিকেট নিয়ে দেখায়। আসল ইস্যুগুলি দেখায় না।”