Opposition Unity: রাহুল ইস্যুতে ফের এক ছাতার তলায় আসবে বিরোধীরা? ‘একসঙ্গে কাজ’ করার বার্তা রাহুলের

Opposition Unity: বিরোধীদের সমর্থনের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, বিরোধীরা একসঙ্গে কাজ করবেন।

Opposition Unity: রাহুল ইস্যুতে ফের এক ছাতার তলায় আসবে বিরোধীরা? 'একসঙ্গে কাজ' করার বার্তা রাহুলের
গ্রাফিক্স সৌজন্যে: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 7:03 PM

নয়া দিল্লি: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। বিজেপিকে (BJP) কেন্দ্র থেকে হঠাতে তৎপর সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। বছরের শুরুতে কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দল জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে যত দিন যাচ্ছে এখন সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কে চিড় প্রকাশ্যে। এই আবহে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার একটা জল্পনা চলছিল। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার মোড়ে সেই সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে গিয়েছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই রাজধানীর রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ। এই ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক বিরোধী দল। সমর্থন জানিয়েছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাহুলের কারাদণ্ড ও সাংসদ পদ খারিজ কি ফের বিজেপি বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসবে?

এই বিষয়ে বহিষ্কৃত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে কোনও বার্তা দেননি। তবে আজকের বৈঠকে কিছুটা ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গতকাল সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে আজ প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর সাংবাদিক বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন এই সময়ে বিরোধী দলগুলি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। তখন রাহুল বলেন, “সব বিরোধী দলগুলিকে ধন্যবাদ যে তাঁরা এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করেছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করব।” বিরোধী ঐক্যে চওড়া ফাটল যখন সামনে, সেই সময় এক সঙ্গে মিলে কাজ করার বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে উল্লেখ্য, মেঘালয় নির্বাচনের আগে পাহাড়ের রাজ্য থেকে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিল কংগ্রেসও। রাহুল মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, বিভিন্ন রাজ্য়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল আসলে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে। এরপর থেকে যত দিন যাচ্ছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। চলতি সংসদের অধিবেশনেও কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের বৈঠকে গরহাজির থেকে তৃণমূল। এমনকী আদানি ইস্য়ুতে বিরোধীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও অংশ নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং দিল্লিতে ‘একলা চলো’ নীতির পথেই হেঁটেছে তাঁরা। তাঁরা একাই ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের স্পষ্ট অবস্থান, বাংলায় বিজেপি-কংগ্রেস হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলছে, সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবে না তৃণমূল। তবে যে দূরত্বটা তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, রাহুলের ইস্য়ুতে তা এক লহমায় মুছে গেল। শুধু তৃণমূলই নয়, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল থেকে শুরু করে বিআরএস প্রধান কেসিআরকেও পাশে পেয়েছেন রাগা। রাহুলের এই অবস্থায় একজোট প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিরোধী দলগুলি।

রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রধান নিশানা! কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন অভিযুক্তেরা। কিন্তু বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।” এদিকে অরবিন্দ কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন। এছাড়াও কে চন্দ্রশেখর রাও এই ইস্যুতে এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন। এখন বিরোধী দলগুলির ঝগড়ার সময় নয়। সমস্ত গণতান্ত্রিক স্বর প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হোক।” অন্যদিতে সিপিএম-র সাধারণল সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইটে লিখেছেন, “বিজেপি এখন বিরোধী নেতাদের নিশানা করতে মানহানির পথ বেছে নিয়েছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তেমনি একটা।” এরপর আজ রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছেন, বিরোধীরা একসঙ্গে মিলে কাজ করবে।