নয়া দিল্লি: গত ১৩ মার্চ থেকে বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। তবে শাসক ও বিরোধী দলের হই-হট্টগোলে সেদিন থেকে বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জোর সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। আর সংসদে দুই কক্ষে রাহুলের ক্ষমার চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে কংগ্রেসও নিজেদের অবস্থানে অনড়। ক্ষমা চাওয়া দুরস্ত বরং আদানি ইস্যুতে পাল্টা সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। রাহুলের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সংসদে বিজেপি সরকারের এই অবস্থান নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি সেই চিঠিতে অভিযোগ করেন,গত তিনদিন ধরে তাঁর মাইক্রোফোন মিউট করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি চিঠিতে লেখেন, দ্বিতীয় পর্বের সংসদ অধিবেশন শুরু হতেই বারবার বিঘ্ন ঘটছে। এর পিছনে সরকার পক্ষ দায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সংসদে বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য শোনা হয় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে লেখেন, “গভীর অসন্তুষ্টির সঙ্গে আমি আপনাদের জানাচ্ছি, গত তিন দিন ধরে আমার টেবিলের সামনে মাইকটি মিউট করে রাখা হয়েছে। এর ফলে আমি আমার দলের নেতা (রাহুল গান্ধী)-র বিরুদ্ধে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবারে আমার মতামত প্রকাশ করতে পারিনি।”
কারণ আজও সকাল ১১ টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যে মুলতুবিও হয়ে যায়। বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদের দাবি ঘিরে ফের হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। আর দুপুর ২ টো অবধি মুলতুবি হয় সংসদের অধিবেশন। এদিকে দুপুর ২ টোয় অধিবেশন শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরেই আগামিকাল অবধি ফের মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। এবার এই সংসদের অধিবেশনের মুলতুবি নিয়েই ঝাঁঝ বাড়ালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতিদিন শাসক দলের নেতারা সংসদের অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। কিন্তু দোষ দিচ্ছে বিরোধীদের উপর। তিনি আরও বলেন, “কর্নাটক নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ওঁরা রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। মোদী সরকারের যদি সাহস থাকে, তাহলে রাহুল গান্ধীর ভাষণ নিয়ে সংসদে আলোচনার অনুমতি দেওয়া উচিত। আমরা প্রমাণ করব কে দেশের বিরুদ্ধে। রাহুল গান্ধী নন,এই মোদী সরকার।”