নয়া দিল্লি : পাঁচ রাজ্যের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা। দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন জি-২৩ নেতারা। এরই মধ্যে সেরকমই এক বিক্ষুব্ধ নেতার গলায় শোনা গেল মোদী সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের যে ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে রাজ্যসভায় কেন্দ্রোর প্রশংসা করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। এমনকি তিনি নিজেও সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মোদী সরকারের প্রশংসায় কার্যত পঞ্চমুখ আনন্দ শর্মা। রাজ্যসভায় আনন্দ শর্মার দাবি, রাত ১ টার সময় ফোন করেও বিদেশ মন্ত্রকের সাড়া পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা জানান, বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। এক পড়ুয়াকে উদ্ধারের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। অফিসার তাঁর মেসেজের জবাব দিয়েছেন ১ টা বেজে ২২ মিনিটে। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগও করা হয় ওই পড়ুয়ার সঙ্গে।
শুধু আনন্দ শর্মাই নয়, আরও এক জি-২৩ নেতার বক্তব্যেও তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। গান্ধী পরিবারকে নিয়ে যে ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস শিবির। সিব্বল বিজেপি ও আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের মানিকরাম টেগোর।
গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে আগেও সরব হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের একাংশকে। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর গান্ধী পরিবার নেতৃত্ব থেকে সরতে পারে, এমন জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, সোনিয়া গান্ধীর হাতেই রয়েছে দলের রাশ। তাতেই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আনন্দ শর্মার এমন বক্তব্য তৈরি করেছে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা।
উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। আর তারপর ফের দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা। এরই মধ্যে এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কপিল সিব্বল বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম কংগ্রেস হবে সবার (সব কি কংগ্রেস), আর কেউ কেউ চাইছে কংগ্রেস হোক পরিবারের (ঘর কি কংগ্রেস)।’ তাঁর দাবি, গান্ধী পরিবার সরে গিয়ে অন্যদের জায়গা করে দিক।