Ashok Gehlot-Sachin Pilot: ইস্তফার হিড়িকের পড়তেই রাতে বেণুগোপালের ফোন, গেহলট বললেন, ‘আমার হাতে কিছুই নেই’

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 26, 2022 | 7:27 AM

Rajasthan Congress Crisis: এবার যদি অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে তিনি যেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু দলের এই প্রস্তাবে রাজি নন গেহলট।

Ashok Gehlot-Sachin Pilot: ইস্তফার হিড়িকের পড়তেই রাতে বেণুগোপালের ফোন, গেহলট বললেন, আমার হাতে কিছুই নেই
ফাইল চিত্র

Follow Us

জয়পুর: দলে নতুন করে শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর গদি অশোক গেহলটেরই থাকবে, নাকি দুই বছর লড়াই চালানোর পর তা সচিন পাইলটের হতে চলেছে, তা নিয়েই তুঙ্গে বিবাদ। এদিকে দলের অন্দরে এই ডামাডোল দেখে কার্যত মজা লুটছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রবিবারই ৯০ জনেরও বেশি কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফার হুমকি দিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন দলের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন ও সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। তাঁদের সাফ জবাবে গেহলট বলেন, “আমি তো নিমিত্ত মাত্র! আমার হাতে কিছুই নেই।”

৭১ বছর বয়সী অশোক গেহলটের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিরোধের কথা সকলেরই জানা। ২০২০ সালে চরমে উঠেছিল ক্ষমতা নিয়ে সেই বিবাদ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন সচিন পাইলট। হুমকি দিয়েছিলেন দল ছেড়ে চলে যাওয়ারও। সেই সময় কোনওমতে তাঁকে বুঝিয়ে দলে ধরে রাখেন গান্ধী পরিবার। দুই বছর কাটতে না কাটতেই ফের সেই সঙ্কটের মুখেই রাজস্থান কংগ্রেস। আগামী মাসেই রয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হতে চলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আর গেহলটের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই কংগ্রেসের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কি না, এবং তিনি ইস্তফা দিলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়েই জল্পনা চলছে।

দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব চান এবার গেহলটের গদিতে বসুক সচিন পাইলট। দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জেদ ধরেছিলেন পাইলট। একাধিকবার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই দাবিও জানিয়েছেন, কিন্তু গেহলটকে সরিয়ে তাঁকে সেই পদ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার যদি অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে তিনি যেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু দলের এই প্রস্তাবে রাজি নন গেহলট। সভাপতি পদ পেলেও, মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে নারাজ তিনি। আর এই টানাপোড়েনকে ঘিরেই উত্তাল রাজস্থান। গতকাল রাতেই গেহলট ঘনিষ্ঠ ৮২ জন বিধায়ক স্পিকারের বাড়িতে গিয়ে ইস্তফা দেন।

সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে ফোন করেন কেসি বেণুগোপাল। তিনি গেহলটকে পরিস্থিতি সামলানোর অনুরোধ জানালে, গেহলট সাফ বলেন, “আমার হাতে কিছুই নেই। বিধায়করা রেগে আছেন।”

যদিও বিষয়টি সামনে আসার পরই এই বার্তালাপের কথা অস্বীকার করেন কেসি বেণুগোপাল। তিনি বলেন, “আমি নাতো মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের সঙ্গে আজ কথা বলেছি, না উনি আমায় ফোন করেছিলেন। যাবতীয় সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।”

Next Article