
লখনউ: পইপই করে বলে দেওয়া হয়েছিল, পরের দিন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিফিং আছে, সকাল ৯টায় ডিউটিতে আসতেই হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট টাইমে ডিউটিতে আসেননি কনস্টেবল। ডিপার্টমেন্ট থেকে দেরিতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে কনস্টেবল যা লিখলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ ডিপার্টমেন্টের।
উত্তর প্রদেশ প্যারামিলিটারি ফোর্স, প্রদেশিক আর্মড কন্সটেবুলারি (PAC)-র ৪৪তম ব্যাটেলিয়ন এক কনস্টেবল নির্দিষ্ট সময়ে ডিউটিতে আসেননি। তাঁকে পরের দিনই ডিসিপ্লিনারি ওয়ার্নিং পাঠানো হয়। দাড়ি না কাটা, ইউনিফর্ম না পরে আসার জন্য তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একদিনের মধ্যে জবাব না দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলা হয়।
দেরিতে আসার ব্যাখ্যা দিতেই ওই কনস্টেবল রিপোর্টে যা লিখেছেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ গোটা ডিপার্টমেন্টের। রিপোর্টে তিনি লিখেছেন, “আমার স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হচ্ছিল। রাতে ও আমার স্বপ্নে আসে, আমার বুকের উপরে চেপে বসে এবং আমার রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কারণে আমি রাতে ঘুমাতে পারেনি। সেই কারণে আমি ডিউটিতেও সঠিক সময়ে আসতে পারিনি।”
ওই কনস্টেবল রিপোর্টে আরও লিখেছেন, তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না। ডিপ্রেশনের ওষুধও চলছে। তাঁর মা-ও অসুস্থ। সবমিলিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে তোলপাড় চলছে। জীবনে বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, কীভাবে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করবেন, তাও জানতে চান।
গোটা বিষয়টি দেখে ৪৪ ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডান্ট সত্যেন্দ্র পটেল বলেন যে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি ওই কনস্টেবলের কাউন্সেলিংয়ের দরকার হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে। বিভাগীয় সাহায্যের দরকার হলে, তার ব্যবস্থাও করা হবে।