MP Constable: কলেজে গিয়ে মিশে যেতেন পড়ুয়াদের মধ্যে, গোপন ‘অপারেশনে’ সফল কনস্টেবল শালিনী

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 12, 2022 | 11:47 PM

MP Constable: একদিন, দু দিন নয়, টানা তিন মাস এইভাবেই কলেজে যেতেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাতেই ধরা পড়েছেন ১১ জন সিনিয়র ছাত্র।

MP Constable: কলেজে গিয়ে মিশে যেতেন পড়ুয়াদের মধ্যে, গোপন অপারেশনে সফল কনস্টেবল শালিনী
কনস্টেবল শালিনী

Follow Us

ভোপাল: দিনের পর দিন কেউ বা কারা কলেজের মধ্যে কারা যেন র‌্যাগিং (Ragging) চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন ভর্তি হলেই একদল পড়ুয়ার হাতে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। অথচ এগিয়ে এসে সাহস করে কথা বলছেন না কেউ। কেমন যেন ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এই অবস্থায় আসরে নামে পুলিশ। অভিনব কায়দায় সেই সব ছাত্রদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হল। ইতিমধ্যে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের। আর সেই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন এক মহিলা কনস্টেবল শালিনী চৌহান। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা।

পরণে জিনস, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রতিদিন কলেজে যেতেন শালিনী। কলেজ ক্যান্টিনে বসে পড়ুয়াদের সঙ্গে গল্প করতেন। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি ওই কলেজের পড়ুয়া নন। একদিন, দু দিন নয়, টানা তিন মাস এইভাবেই কলেজে যেতেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাতেই ধরা পড়েছেন ১১ জন সিনিয়র ছাত্র।

ইন্সপেক্টর তেহজিব কাজী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে নানা ধরনের অভিযোগ আসছিল ওই কলেজ থেকে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে বাধ্য করা হত বলে অভিযোগ। র‌্যাগিং-এর নামে যৌন উত্তেজনামূলক কাজ করতে বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ। কিন্তু কারা করছে এসব? তা বলতে সাহস করেননি পড়ুয়ারা।

পুলিশ কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হয়নি। পুলিশ বুঝে গিয়েছিল, সবার মনে একটা ভয় কাজ করছে। এরপরই অন্য পন্থা নেয় তারা। সাদা পোশাকে কনস্টেবল শালিনীকে পাঠানো হয় কলেজে। তিনি ক্যান্টিনে বসে আলাপ করতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। কথা ছলেই জানার চেষ্টা করেন সব। কিছুদিনের মধ্যে অনেকেই মন খুলে সব কথা বলেন তাঁকে। কলেজের সামনে চা-এর দোকানেও গল্প করতেন তিনি। জানার চেষ্টা করতেন কলেজের ভিতরে ঠিক কী হয়? এভাবেই একে একে ১১ জনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

Next Article