নয়া দিল্লি: ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগেও দেখেছে দেশের মানুষ। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসকেও কাগজের মণ্ডের মতো দলা পাকিয়ে যেতে দেখেছিলেন অনেকে। তবে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে দেশবাসীর বুকে। যেভাবে বগির নীচে পিষে গিয়েছে দেহ, যেভাবে রেল লাইনের ধারে পড়ে রয়েছে সারি সারি মৃতদেহ, তা ভুলতে হয়ত সময় লাগবে অনেক। তবে শুক্রবারের এই ঘটনা ১৪ বছর আগের আরও একটা শুক্রবারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিনটাও ছিল শুক্রবার। চেন্নাইয়ের দিকেই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ওডিশাতেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় ট্রেনের প্রায় ১৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ১১টি স্লিপার ক্লাসের বগি ও বাকি ২টি জেনারেল ক্লাসের।
বগগুলি মূল ট্রেন থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল। একটি বগি আর একটির ওপর উঠে গিয়েছিল। সেবারও সন্ধ্যায় ঘটেছিল দুর্ঘটনা। ওডিশার জয়পুরে সেই দুর্ঘটনা এতটা ভয়াবহ না হলেও সেবার মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জন যাত্রীর, আহত হয়েছিলেন ১৬১ জন।
১৪ বছর পর আরও একটি শুক্রবার। ২ জুন সন্ধ্যায় ফের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল চেন্নাইগামী ট্রেনটি। তবে এবার ভয়াবহতা অনেক বেশি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ট্রেনটির বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মালগাড়ির ওপরে উঠে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৩৮। ৬০০-র বেশি মানুষ আহত অবস্থায় বেশিরভাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।