বালেশ্বর: একটা ট্রেনের সব থেকে শক্ত বগি হিসাবে ধরা হয় পার্সেল বগিকে। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের পার্সেল বগিটি দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে। রেললাইন থেকে নেমে কাত হয়ে পড়েছে। বগির ভিতরের অবস্থা লণ্ডভণ্ড। সূত্রের খবর, রেল আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, মূলত পার্সেল বগির মধ্যে অনেক কিছুই ছিল। যা এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশ্ন কোথায় গেল? পার্সেল বগি থেকে অনেক সামগ্রী লুঠ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন রেলের একাংশ। রেল আধিকারিকরা প্রাথমিক ভাবে রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ১,২,৩ নম্বর লাইনের মধ্যেই জট পাকিয়েছে সবটা। বাহানগা বাজারে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও।
১ নম্বর লাইনটিতেই ছিল মালগাড়ি। ২ ও ৩ নম্বর লাইনে ছিল এক্সপ্রেস ট্রেন। রেলের একটি সূত্র মনে করছে, শালিমার থেকে ছেড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, সেটিই বেলাইন হয়। সেটি পাশের লাইনে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। তখন মাঝখান থেকে যশবন্তপুরের দিগ থেকে হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেস। সেটি আবার আড়াআড়িভাবে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগিগুলোকে ধাক্কা মারে। হামসফর এক্সপ্রেসের ২ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২০ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। করমণ্ডলের S1, S2, S3, S5 বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেনারেল কম্পার্টমেন্টেরও।
কোথায় সমস্যা ছিল, লাইনে না সিগন্যালে? প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা নাকি অন্য কিছু? সে সব নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিও।