নয়া দিল্লি: দেশে করোনার (COVID) করাল থাবা। দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ১১৮। যা গত বছরের মধ্য অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই নতুন ৫৯ হাজার ১১৮ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৫২। ভ্যাকসিন আসার পর থেকেই দেশে করোনাবিধি না মানার প্রবণতা বেড়েছে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৭ জন। যার ফলে দেশে মোট করোনার মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪৯। পুণে তথা মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু।
করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই ফের নাইট কার্ফু চালু কররা সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। শুক্রবারই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
উত্তরাখণ্ডেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ঋষিকেশের একটি বিখ্যাত হোটেলে ১৬ জন কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা হল হোটেল। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে বিগত ১০ দিনে ওই হোটেলের ২৩জন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও গুজরাট থেকে আগত ২২ জনের একটি পর্যটকদলের সকলেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুণেতে লকডাউনেও বাগ মানছে না করোনা সংক্রমণ, তাই আগামী ২ এপ্রিলই কড়া কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে, এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি বলেন, “আমি সাধারণ মানুষকে বলতে চাই যে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই থাকে, তবে ২ এপ্রিলের মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। সকলে দয়া করা মাস্ক পরুন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, আমি অনুরোধ করছি।”
লাগামহীন করোনা সংক্রমণে দিশেহারা মহারাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল। তবে সাধারণ জনগণের জন্য নয়, মূলত করোনা রোগীদের দেখভালের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যাস জানিয়েছেন, প্রতিটি কেভিড হাসপাতালেই অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ও সিলিন্ডারগুলি যাতে ভর্তি থাকে, সে বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে। একইসঙ্গে হেম আইসোলেশনে যে সমস্ত রোগীরা থাকবেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর থাকতে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দলকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করেই কোভিড হেলথ সেন্টার ও নির্দিষ্ট কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।