নয়াদিল্লি: ভারতে গত কয়েক দিন ধরেই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২-৩ দিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণ হাজারক চাড়াচ্ছিল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০০ জন। যা গত ১৪০ দিনে সর্বোচ্চে। প্রায় সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১৩০০ হল। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেশে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭ হাজার ৬০৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের মৃত্যুও সামনে এসেছে। কর্নাটক, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র তিন রাজ্যে এক জন করে কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই তিন রাজ্যে সংক্রমণও বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪১৮ জন। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৯৭ জন সুস্থ হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮১৬ জনের। গত কয়েক দিনে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ১০০-র নীচে থাকলেও দিল্লি ও তামিলনাড়ুতেও আক্রান্ত বেড়েছে। তবে সংক্রমণের হার এক শতাংশের আশপাশেই রয়েছে।
দেশে কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে সজাগ কেন্দ্রও। কোভিড ঠেকাতে টিকাকরণে জোর দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু গত কয়েক দিনের কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনার জন্য বুধবার বিকালে একটি উচ্চ পদস্থ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। দেশের করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সামগ্রিক ভাবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন মোদী। সোশ্যাল ডিসট্যান্স ও মাস্ক ব্যবহারের উপরেও জোর দিতে বলেছেন মোদী।