Crime News: মেয়ের স্বপ্নপূরণের জন্য শিশুকে অপহরণ দম্পতির, তারপর…
Crime News: মেয়ের স্বপ্নপূরণের জন্য শিশুকে অপহরণ করল দম্পতি। তারপর শিশুর মাকেও করল খুন।
গুয়াহাটি: নিজের মেয়ের কোনও সন্তান হয়নি। দাদু-দিদা ডাকও শুনতে পায়নি তারা। তবে নিজের মেয়ের মা না হওয়ার খামতি পূরণ করতে চেয়েছিলেন সেই বাবা-মা। আর তা করতে গিয়েই পুলিশির হাতে গ্রেফতারও হতে হল তাদের। মেয়ের কোল ভরাতে ১০ মাসের এক ফুটফুটে শিশুকে অপহরণ (Kidnapping) করে ওই দম্পতি। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সেই খুদের মাকেও খুন করে তারা। উচ্চ অসমের (Upper Assam) এই ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা কর্মকান্ডে যুক্ত ছিল এক দম্পতি, তাদের ছেলে। শুধু তাই নয় এই ঘটনায় হাত ছিল মৃতের মায়েরও।
কেন্দুগুড়ি বাইলুং গ্রামের বাসিন্দা নীতুমণি লুখুরাখো। সিমালুগুড়ির এক বাজার থেকে সোমবার সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারপর মঙ্গলবার সকালে অসমের চরাইদেও জেলার রাজাবাড়ি টি এস্টেটের একটি নর্দমা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ১০ মাসের শিশুর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সিমালগুড়ি, শিবসাগর ও চড়াইদেও ও জোরহাটের পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। তারপর জোরহাটের ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাস থেকে সেই খুদেকে উদ্ধার করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনও কাজের অজুহাতে নীতুমণি ও তাঁর মেয়েকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিল ওই দম্পতি। কিন্তু তাঁরা যেতেই নীতুমণির কাছ থেকে শিশুকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু নীতুমণি দিতে না চাওয়ায় তখন তাঁকে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে দম্পতি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকে অপহরণ করে হিমাচল প্রদেশের পাঠানো হত। সেখানেই ওই দম্পতির মেয়ে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত দম্পতির সেই উদ্দেশ্যে জল ঢেলে দিয়েছে পুলিশি তৎপরতা। এই যুক্ত থাকার অভিযোগে তেঙ্গাপুখুরির প্রণালী গোগোই ওরফে হিরামাই ও তার স্বামী বসন্ত গোগোইকে মঙ্গলবার সিমালগুড়ি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পরের দিন অর্থাৎ বুধবার তাদের ছেলে প্রশান্ত গোগোই এবং ওই মহিলার মা ববি লুখুরাখোকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য গ্রেফতার করা হয়। শিবসাগরের বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি বোরা বলেন, ‘এই পরিবার নীতুমণি এবং তাঁর সন্তানকে অপহরণ করে। সেই শিশুকে হিমাচল প্রদেশে তাদের মেয়ের কাছে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল। এদিকে যখন দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয় ততক্ষণে শিশুকে নিয়ে ট্রেনে উঠে গিয়েছিল তাদের ছেলে। কিন্তু ট্রেন থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে। চারজন অভিযুক্তকেই জেলা আদালত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।