
রায়পুর: সদ্যই বিয়ে হয়েছিল। এখনও মেহেন্দির রং ওঠেনি যুবতীর হাত থেকেই। সিঁদুরে রাঙা সিঁথি এবং হাত ভর্তি মেহেন্দি নিয়েই জীবনের শেষ যাত্রায় যুবতী। সঙ্গে রয়েছে সাথীও। দু’দিন আগেই একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। সেদিন একে অপরের পাশে থাকার শপথ নিয়েছিলনে তাঁরা। শেষযাত্রাতেও একসঙ্গেই রইলেন দম্পতি। তবে এই চলে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। রয়েছে রহস্যের গন্ধও। বিয়ে হয়ে গেলেও রিসেপশন বাকি ছিল তখনও। আর রিসেপশনের দিনই ঘর থেকে মিলল সদ্য বিবাহিত দম্পতির নিথর দেহ। দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ছত্তীসগঢ়ের (Chhatisgarh) রায়পুরের (Raipur) ঘটনা।
টিকিয়াপাড়া পুলিশ স্টেশনের অধীনে ব্রিজনগর এলাকায় বাড়ি আসলামের। রবিবার ২৪ বছর বয়সী আসলামের সঙ্গে ২২ বছরের কাহকাশা বানোর বিয়ে হয়। আর মঙ্গলবার ছিল তাঁদের রিসেপশন পার্টি। অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় ছেলের মা হঠাৎ বউয়ের চিৎকার শুনতে পান। সেখানে দৌড়ে যান তিনি। ছেলের মা বলেছেন, “ভিতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।” তিনি জানিয়েছেন, কোনও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়েই ঘরে উঁকি দেন তাঁরা। আর উঁকি দিতেই চক্ষুচড়কগাছ পরিবারের। ঘরে রক্তের বন্যা বইছে। আর সেখানে পড়ে রয়েছে আসলাম আর বানোর নিথর দেহ। এই কাণ্ড দেখেই পুলিশে খবর দেয় পরিবার।
খবর পেয়ে বাড়িতে আসে পুলিশ। তারা দরজা ভেঙে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি ছরিও পাওয়া গিয়েছে তাঁদের ঘর থেকে। পুলিশের অনুমান, বিয়ের পরদিনই কোনও বিষয় নিয়ে দুই দম্পতির মধ্যে বচসা বাঁধে। তা থেকেই তুমুলে ওঠে অশান্তি। নিজের স্ত্রীর উপর কোপ চালান এবং তারপর নিজেকে খুন করেন যুবক। পুলিশ বলেছে, “প্রাথমিক অনুমান দু’জনের মধ্যে কোনও অশান্তির কারণে স্ত্রীকে মেরে নিজেকে খুন করেছেন স্বামী।” তবে এই ঘটনায় তদন্ত জারি রয়েছে পুলিশের।