
নয়া দিল্লি: কোভিড-১৯’এর বিপদ এখনও শেষ হয়নি। কাজেই আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর), কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। চিন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে, এদিন প্রধানমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলার প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক আহ্বান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সার্বিক কোভিড মোকাবিলা পরিকাঠামোর উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রক্রিয়া এবং মানব সম্পদ – সমস্ত দিক থেকে তৈরি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং কোভিড পরীক্ষা বৃদ্ধির উপর জোর দিন, নজরদারি আরও জোরদার করুন।”
বৈঠকে বর্তমান বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি তুলে ধরা লহয় প্রধানমন্ত্রী সামনে। একই সঙ্গে ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমে কমছে বলে জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। বৈঠকে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের কোভিড পরীক্ষা এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রতিদিন ইনসাকগের জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগারগুলির যত বেশি সম্ভব নমুনা পাঠাতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিএসএ প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর এবং মানব সম্পদ সহ হাসপাতালের পরিকাঠামোর আশানুরূপ প্রস্তুতি নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে কোভিডের সুযোগ-সুবিধাগুলি পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সামনেই উত্সবের মরসুম। তাই, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশবাসীকে সর্বদা কোভিড-১৯’এর নিয়মকানুন মেনে চলার জন্য এবং অসুস্থ ও প্রবীণ নাগরিকদের কোভিড টিকার সতর্কতামূলক ডোজ় নিতে উত্সাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ক্রিসমাস এবং নববর্ষের সময় রাজ্য সরকারগুলিকে সম্ভাব্য কোভিড সংক্রমণ বিস্তার রোধে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলা হয়েছে। চিনে সম্প্রতি জ়িরো কোভিড নীতি শিথিল করা হয়েছে। কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। তারপরই হুহু করে বেড়ে চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু চিন নয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়ামের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এই নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এদিন এই বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।