নয়া দিল্লি: করোনা(COVID-19) নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে স্বস্তি। দৈনিক সংক্রমণ থেকে অ্যাক্টিভ রোগী, সব পরিসংখ্যানেই নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫,১৫২ জন। দেশে(India) এখন মোট করোনা(COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০,০৪,৫৯৯। মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ৯৫,৫০,৭১২ জন।গত একদিনে, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৭ জনের। দেশে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১৪,৫১,৩৬ জন।
আরও পড়ুন : ‘করোনা টিকার জন্য এক পয়সাও নেব না’, ঘোষণা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের
গত নভেম্বর থেকেই নিম্নমুখী করোনা(COVID-19) গ্রাফ।হ্রাস পেয়েছিল দৈনিক সংক্রমণও। ৪৩ হাজারের গ্রাফ নেমে আসে ৪১ হাজারে। রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের দিক থেকে তালিকায় প্রথম মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮৮,৭৬৭। মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানাধিকারী কর্ণাটকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০৭,১২৩। রাজধানী দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১,৪৭৭৫। অষ্টম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৩২,৬৯৫। সুস্থ হয়েছেন ৫,০৪৩৫৩ জন।
ভারতে একনজরে করোনা গ্রাফ
•দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। বিগত একদিনে দেশে(India) অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫০৮০। সপ্তাহের শুরুতে এই সংখ্যাটাই ছিল ১২,৭৬৬। বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫,১৫২ জন। সপ্তাহের শুরুতেই এই সংখ্যাটা ছিল ২২,০৬৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী দেশে কমেছে মৃত্যুহার।
•সংক্রমণের তালিকায় প্রথম দশে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান অষ্টমে। সর্বপ্রথম মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে আছে কর্ণাটক।
•জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ রাজ্যে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। কেন্দ্রের তরফে কোনও লিখিত নির্দেশিকা না এলেও সপ্তাহখানেক আগে এক ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা।তাঁদের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই ভ্যাকসিন হাতে পেতে পারে রাজ্যগুলি।
•টিকাকরণে নথিভুক্তির পুরো কাজটাই হবে ‘কো-উইন’ পোর্টালের মাধ্যমে।
•৬ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে উর্দিধারীদের (সেনা, পুলিস, নিরাপত্তাকর্মী) টিকা দেওযা হবে।
•প্রায় শেষ পথে রয়েছে ‘কো-মর্বিডিটি সার্ভে’।ষাটোর্ধ্ব কো-মর্বিড ব্যক্তিদের সব তথ্য পোর্টালে তোলা হবে।
• দেশে এখন মোট ৬ করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে। সেই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলি হল ভারত বায়োটেক, জাইডাস ক্যাডিলা, জেনোভা, সেরাম ইনস্টিটিউট, ডঃ রেড্ডিজ ল্যাব ও বায়োলজিকাল ই লিমিটেড।
•সম্প্রতি, সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানুয়ারিতেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন চলে আসবে বাজারে। ভ্যাকসিন এলে বিনামূল্যে তা বিতরণ করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও বিহার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
আন্তর্জাতিক মানচিত্রে করোনার হালহকিকত এক নজরে
•গোটা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬০,১৩,০৭৪।সুস্থ হয়েছেন ৫,৩২,৮১,৬০৬ জন। মৃত্যু ১,৬৮১,২৪৯।
•সংক্রমণের নিরিখে গোটা বিশ্বে সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৮,৮৮,৩৫৩। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭,১৭,৩,২২২।সুস্থ হয়েছেন ১০,৩৯৪,২৮৬ জন। মৃত ৩২,০৮৪৫।
•আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল।ব্রাজিলে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,১৬,৩৯১২। সক্রিয় রেগীর সংখ্যা ৭৮,০০৪০। সুস্থ হয়েছেন ৬,১৯৮,১৮৫। মৃত ১,৪৫,১৭১।
•করোনার ঝড়ে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছিল ইটালি।গোটা বিশ্বের সংক্রমণের তালিকায় ইটালি অষ্টম স্থানে। ইটালিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,২১৭৭৮। সুস্থ ১,২২৬,০৮৬ জন।
•সম্প্রতি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে চালু হয় করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি।সম্প্রতি, কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের।পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ফরাসি প্রধান ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ। এর আগে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও করোনায় সংক্রমিত হন।