ফের ফিরে আসছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম? করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগাম সতর্কতা নিল উইপ্রো
নয়া দিল্লি: কেরল, গোয়া, মহারাষ্ট্রের গণ্ডী পেরিয়ে এবার কর্নাটকেও হদিশ মিলল করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1-এর। কর্নাটকে ৩১ জনের শরীরে করোনার নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে। এই প্রজাতির সংক্রমণে ৩ জনের মৃত্যুও হয়েছে। যা কর্নাটক স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে কেবল কর্নাটক নয়, গোটা দেশেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড। ফলে আগাম সতর্কতা নিতে শুরু করেছে দেশের অন্যতম তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো।
উইপ্রোর তরফে জানানো হয়েছে, নভেম্বর থেকেই কর্মীরা সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই কাজে আসছেন এবং সপ্তাহে ৩ দিন করে রোটেশনালি কর্মীরা অফিসে আসছেন। করোনার বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলায় সমস্ত বিধি মেনে চলা হচ্ছে এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন। ফলে মঙ্গলবার দেশে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪, ১৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। প্রত্যেকেই কর্নাটকের বাসিন্দা।
করোনার এই নতুন ঢেউয়ে রবিবার, ক্রিসমাস-ইভ-এ দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। একদিনেই আক্রান্ত হয়েছিল ৬২৮ জন। ফলে সোমবার এক লাফে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৪ হাজারের উপর। যদিও JN.1 সংক্রামক হলেও গুরুতর নয় বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে পুনরায় কোভিড-বিধি মেনে চলা ও করোনা পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডা. ভি. কে পল।