Covid alert for childrens: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেই থাবা বসাচ্ছে JN.1, শিশুদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি
Covid preventive tips: শিশুদের JN.1 -এ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ সম্পর্কে জানিয়ে সতর্ক অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শ্রেয়া দুবে। তিনি জানান, শিশুদের জ্বর, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা, বমি,মাথা ব্যথা, গা ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

নয়া দিল্লি: ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড। কেবল বৃদ্ধ বা প্রাপ্তবয়স্কদের নয়, শিশুদের মধ্যেও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1। ভারতেরও বিভিন্ন শহরে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এই প্রজাতির হদিশ মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং শিশুদের রক্ষা করতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
হু-র তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাসের শেষ প্রজাতি, পিরোলা অথবা BA.2.86-এর মিউটেশনের পরিবর্তিত রূপ হল JN.1। কোভিড ভ্যাকসিন এই প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের মধ্যে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতি। তাই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোওয়া থেকে পরিচ্ছন্ন থাকা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
হু-র সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন গুরুগ্রামের ফর্টিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিড়লা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞরাও। ফর্টিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডা. নেহা রাস্তোগি পান্ডা বলেন, যাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষত শিশুদের মধ্যে JN.1 সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আগাম সতর্কতা নিলে সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। শিশুদের পরিচ্ছন্ন রাখা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া এবং অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে জল দিয়ে হাত ধোওয়া উচিত। একজনের থেকে অপরজনের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের মুখে, চোখে, নাকে হাত না দেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করা উচিত। এছাড়া মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা-সহ সকল কোভিড-বিধি মেনে চলা উচিত এবং স্কুল কর্তৃপক্ষেরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে জানিয়েছেন ডা. পান্ডা।
শিশুদের JN.1 -এ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ সম্পর্কে জানিয়ে সতর্ক অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শ্রেয়া দুবে। তিনি জানান, শিশুদের জ্বর, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা, বমি,মাথা ব্যথা, গা ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। ঠিকমতো রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এছাড়া ২ বছর বা তার বেশি বয়সের শিশুদের মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বের করা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা ও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।





