হায়দরাবাদ: মানুষ হোক বা পশু- ভালবাসায় কে না পাগল হয়! বিভিন্ন ভাবে মানুষ ভালবাসার প্রকাশ করতে পারে। পশুদের মধ্যে হয়তো ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হয় না। কিন্তু, পশুদের ভালবাসা দিলে তারাও প্রতিদান দিতে জানে। এবার এমনই এক ঘটনার নজির দেখা গেল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ডা. বি.আর আম্বেদকর কোনাসীমা জেলার মোরি গ্রামে। বাড়ির কর্তার মৃত্যুতে কেঁদে ভাসাচ্ছে গরু (Cow)। যা দেখে হতবাক পরিবার-প্রতিবেশী, সকলেই।
মোরি গ্রামের বাসিন্দা পোতুরাজু সত্যনারায়ণমূর্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ বাড়ির উঠোনে বের করা হলে সংলগ্ন খামার থেকে একটি গরু বেরিয়ে আসে এবং পোতুরাজুর দেহের কাছে এসে দাঁড়ায়। তারপর দেখা যায়, গরুটির দু-চোখ বেয়ে জল গড়াচ্ছে। বলা যায়, নীরবে চোখের জল ফেলছে গরুটি। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সেখানে উপস্থিত সকলেই। তারপর চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে গরুটি। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পোতুরাজুর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে এই গবাদি পশুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুটি যখন ছোট ছিল, তখন থেকেই তার দেখাশোনা করতেন পোতুরাজু সত্যনারায়ণমূর্তি। একেবারে নিজের ছোট সন্তানের মতো করে গরুটির সেবা-যত্ন করতেন তিনি। তাঁর সেই ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এই চারপেয়েও। তাই মালিকের মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে গরুটিও।
বর্তমানে টাকা-পয়সা, সম্পত্তির জন্য পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিবাদ লেগে থাকে। ভায়ে-ভায়ে খুনোখুনি, এমনকি বাবা-মাকে কোপাতেও সন্তানের হাত কাঁপে না। এই আবহে মালিকের জন্য গবাদি পশুর ভালবাসা, তাঁকে হারানোর কান্না নজিরবিহীন।