AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata-Sukanya: মেয়ে জেলে, ইডির ‘বিবেক’ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুললেন কেষ্ট

Cow Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আপাতত তিনি রয়েছেন তিহাড়ের মহিলা সেলে। কেষ্ট নিজেও রয়েছেন তিহাড়ে। আজ আদালতে পেশ করা হলে মেয়ের এই গ্রেফতারি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুললেন কেষ্ট।

Anubrata-Sukanya: মেয়ে জেলে, ইডির 'বিবেক' নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুললেন কেষ্ট
অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডল
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 4:13 PM
Share

নয়া দিল্লি: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিহাড় থেকে আসানসোলে স্থানান্তরের মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে তাঁকে পেশ করা হয়েছিল। হুইল চেয়ারে বসে গেরুয়া রঙা একটি টিশার্ট গায়ে আদালতের ভিতরে ঢোকেন কেষ্ট। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal) এখন একই মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিহাড়ে রয়েছেন। মেয়ের গ্রেফতারিতে বেজায় বিরক্ত কেষ্ট। বৃহস্পতিবার আদালত কক্ষে আবারও সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। আদালতের ভিতরে মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে বেশ আবেগ প্রবণ অনুব্রত মণ্ডল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন, ‘মেয়েকে অ্যারেস্ট করলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি?’

মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কেষ্ট। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এর আগে সুকন্যার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেছিলেন,  ‘মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়। ওটা খুব বাহাদুরির কাজ হয়নি।’ আর আজ ফের একবার ইডির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন অনুব্রত মণ্ডল।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর থেকেই স্ক্যানারে ছিলেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বিশেষ করে গরু পাচারের এই বিশাল অঙ্কের কালো টাকা, কোন পথে ঘুরত… সেই তথ্য খুঁজছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির অফিসে তলব করা হচ্ছিল সুকন্যাকে। কিন্তু বার বার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বার হাজিরার দিন দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। অভিযোগ, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সুকন্যার গ্রেফতারির পর তৃণমূলের একাধিক নেতার মুখে সহমর্মিতার সুর শোনা গিয়েছিল। তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ যেমন প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাবা যেখানে জেলবন্দি, তখন মাতৃহারা মেয়েকে কি বাইরে রেখে তদন্ত করা যেত না? আবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, সুকন্যার মনের মধ্যে দিয়ে কী যাচ্ছে, তা একজন বাবা হিসেবে অনুভব করতে পারছেন তিনি।