CPIM General Secretary: আলেকজান্ডারের হাতে কমিউনিস্ট পার্টি, সেলিম-সূর্য বিপক্ষে ভোট দিয়ে রাশ সেই কেরলের হাতে
CPIM General Secretary: ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেরলের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। এবার সেই মন্ত্রীকেই নতুন ভূমিকায় নামাল দল। সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসূরি হিসাবে দলের ব্যাটন ধরলেন তিনি।

মাদুরাই: সীতারামের পর কে? কার হাতেই বা যাবে দেশজুড়ে সংগঠনের রাশ? মাদুরাইয়ে ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাকানিচোবানি খাচ্ছিল সিপিআইএম। রবিবারের মধ্যেই নির্বাচনের কাজটা শেষ হওয়ার কথা ছিল, আর তেমনটাই হল।
দেশজুড়ে বামেদের ব্যাটন ধরলেন কেরলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এম এ বেবি। পুরো নাম মারিয়াম আলেকজান্ডার বেবি। ১৬ জন পলিটব্যুরোর মধ্যে ১১ জনের সমর্থন নিয়ে সিপিআইএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক হলেন তিনি।
কেরলের কোল্লাম জেলার বাসিন্দা এম এ বেবি। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা চলাকালীন জেলও খেটেছেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন এই সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেরলের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। এবার সেই মন্ত্রীকেই নতুন ভূমিকায় নামাল দল। সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসূরি হিসাবে দলের ব্যাটন ধরলেন বেবি।
উল্লেখ্য, নতুন সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে পুনরায় বামেদের মধ্যে কেরল-বাংলার বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে বলে মত একাংশের। জানা গিয়েছে, দক্ষিণী পলিটব্যুরো, এমনকি দলের অন্য সদস্যরাও এম এ বেবিকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এগিয়ে দিলেও, তাঁর বিরোধিতা করতে দেখা যায় বাংলার বামেদের।
বাংলার তরফে থাকা পলিটব্যুরো সদস্যেদের দাবি ছিল এম এ বেবির পরিবর্তে দলের ব্যাটন ধরুক সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, রামচন্দ্র ডোম, বেবির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে অশোক ধাওয়ালের নাম সর্বসম্মত না হলেও, তৃতীয় নাম হিসাবে ছিলেন মহম্মদ সেলিম। সূত্রের খবর, তিনি নিজে যেহেতু বামেদের রাজ্য সম্পাদক। তাই সেই পদ ছেড়ে কেন্দ্রীয় স্তরে যেতে চান না বলেই দলকে জানিয়েছিলেন।





