AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sitaram Yechury Passes away: প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, বাহাত্তরে লড়াই থামল কমরেডের

Sitaram Yechury Passes away: প্রয়াত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ১৯ অগস্ট নিউমোনিয়া নিয়ে নয়া দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল।

Sitaram Yechury Passes away: প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, বাহাত্তরে লড়াই থামল কমরেডের
প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরিImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Sep 12, 2024 | 5:10 PM
Share

নয়া দিল্লি: প্রয়াত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ হয়ে নয়া দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। নিউমোনিয়া হয়েছিল সিপিআইএম নেতার। গত ১৯ অগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়েছিল। বুধবার রাতে এইমস-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল।

গত অগস্টে তাঁর চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। সেই কারণে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পরও কলকাতায় আসতে পারেননি। এরপরই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। গত ১৯ অগস্ট থেকে বুকে সংক্রমণ নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। এইমসের আইসিইউ-তেই চলছিল চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখছিলেন। গত মঙ্গলবার, সিপিআইএমের তরফে এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছিল, সীতারাম ইয়েচুরিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। বুধবার অবশ্য জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে একটি ইনজেকশন দিয়ে তাঁর প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

১৯৫২ সালে তৎকালীন মাদ্রাজে (চেন্নাই)-র এক তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ছাত্র-জীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনবার জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ জরুরি অবস্থার সময় জেনেইউ-এর ছাত্র থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন সীতারাম। ওই বছরই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সীতারাম। গত ৯ বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।