লখনউ: পরিবারে দেখাশোনা করে বিয়ে। প্রথমে সবকিছু ভালই চলছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পার করতেই শুরু হল অশান্তি। স্ত্রী এত রূপবতী, স্বামীর সন্দেহ, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নিশ্চয়ই। স্ত্রী বহুবার আশ্বস্ত করলেও, স্বামীর বিশ্বাস হয় না কিছুতেই। এই নিয়ে নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত। শেষে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। রাগের বশে কেটে ফেললেন স্বামীর যৌনাঙ্গ। তাতে আবার মদত দিল দুই বন্ধু।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে। শুক্রবার রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। তাঁর যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। বর্তমানে ওই ব্যক্তির অবস্থা সঙ্কটজনক। হাসপাতালের তরফেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর স্ত্রী যৌনাঙ্গ কেটে নিয়েছেন। সাহায্য করেছে স্ত্রীর দুই বন্ধু। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দুই আগে ওই ব্যক্তির সঙ্গে এক যুবতীর বিয়ে হয়। প্রথমে সব ঠিকঠাক থাকলেও, পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। স্বামী সন্দেহ করতেন যে স্ত্রীর হয়তো অন্য কোনও সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যখন কাজে বাড়ির বাইরে যান, তখন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন স্ত্রী। চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলায় স্ত্রী বিরোধিতা করে। এই নিয়ে নিত্যদিনই অশান্তি লেগে থাকত।
দিনের পর দিন অশান্তি লেগে থাকায় স্ত্রী আত্মহত্যার করবেন বলে ভাবেন। দুই বন্ধুকে এই বিষয়ে জানান। তারা যুবতীকে বোঝান যে ভুল সিদ্ধান্ত এটা। বরং স্বামীকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। স্বামী বাড়ি আসতেই তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং হাত-পা চেপে ধরে। এরপর স্ত্রী ব্লেড দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্যে হাসপাতালে পৌঁছন। পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)