গুয়াহাটি: সামনেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে নলবাড়ির জঙ্গলে মাটির নীচে থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র। যার মধ্যে পিস্তল, গুলি ছাড়াও বিস্ফোরক রয়েছে। যদিও এই আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের পিছনে কী কারণ রয়েছে, কারা এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অসম পুলিশ এবং সিআরপিএফ যৌথভাবে নলবাড়ি থানার অন্তর্গত সেঙ্গোনোই গ্রামের জঙ্গল এলাকায় অভিযান চালায়। শনিবারের সেই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। অসম পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সেঙ্গোনোই গ্রামের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি পিস্তল, ২টি এয়ার পিস্তল, ৭টি ম্যাগাজিন, ১২৭ রাউন্ড গুলি ৭৯টি একে-৪৭, ৫টি ডিটোনেটর এবং ৬০০ গ্রাম বিস্ফোরক পদার্থ।
নলবাড়ির জেলা পুলিশ সুপার সুধাকর সিং বলেন, সেঙ্গোনোই গ্রামের জঙ্গলের ভিতর মাটির নীচে এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা ছিল সেনা গোয়েন্দা বাহিনী এবং সিআরপিএফ গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে এই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। যদিও কারা, কেন জঙ্গলের মাটির নীচে এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে এসপি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডের বুড়া পাহাড় এলাকায় একইভাবে মাটির নীচে থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে ঝড়খণ্ড পুলিশ এবং সিআরপিএফ। আবার গত ২৬ ডিসেম্বর অসমের ডিব্রুগড় জেলার দক্ষিণ জ্বালান চা বাগান এলাকা থেকে ২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, একে-৪৭ রাইফেল সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।