বিশাখাপত্তনম: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি। শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পুদুচেরি থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৪ ডিসেম্বর অন্ধ্র প্রদেশ ও সংলগ্ন তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়বে মিগজাউম। যেভাবে সিস্টেমটি এগোচ্ছে, তাতে নেল্লোর ও মছিলিপত্তনমের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ল্যান্ডফলের সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ২ ডিসেম্বর থেকে তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূল ও পুদুচেরিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামিকাল, ৩ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। অন্ধ্র প্রদেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর অবধি এই বৃষ্টিপাত জারি থাকবে।
নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি ওড়িশাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ ডিসেম্বর থেকে ওড়িশার দক্ষিণ উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবারই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ১২টি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন।