Anil Ambani: অম্বানী পরিবারে ঘোর অন্ধকার! ৭৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, এবার অম্বানীকেই তলব করল ED
Enforcement Directorate: এক সময়ে ধনকুবের থেকে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন অনিল অম্বানী (Anil Ambani)। শেষে, ভাই মুকেশ অম্বানী ঋণ পরিশোধ করে জেল যাত্রা আটকেছিলেন। ফের একবার আইনি বিপাকে জড়ালেন অনিল অম্বানী। রিলায়েন্স গ্রুপ ও অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুম্বই: আরও বিপাকে অনিল অম্বানী। ৭৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পর ফের ইডি (ED) অফিসে তলব ব্যবসায়ী অনিল অম্বানীকে। স্টেট ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (SBI) ঋণ সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ মামলাতে তলব করা হয়েছে অনিল অম্বানীকে। আগামী ১৪ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়ছে।
এক সময়ে ধনকুবের থেকে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন অনিল অম্বানী (Anil Ambani)। শেষে, ভাই মুকেশ অম্বানী ঋণ পরিশোধ করে জেল যাত্রা আটকেছিলেন। ফের একবার আইনি বিপাকে জড়ালেন অনিল অম্বানী। রিলায়েন্স গ্রুপ ও অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই মামলাতেই ৭৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এবার অনিল অম্বানীকে তলব। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে গত ৫ অগস্টও আর্থিক তছরুপ মামলাতেই তলব করা হয়েছিল অনিল অম্বানীকে। সেই সময় ৮ ঘণ্টা একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিদেশে কত সম্পত্তি রয়েছে, কোম্পানির লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।
এই মামলায় ইডি মুম্বইয়ের ৩৫ জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে। বহু নথি ও ডিজিটাল রেকর্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার ধীরুভাই অম্বানী নলেজ সিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ১৩২ একর জমির উপরে তৈরি এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার বর্তমান বাজারমূল্য ৪৪৬২ কোটি টাকা। তার আগে ৩১ অক্টোবর ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আদালতের ছাড় পেলে এই সম্পত্তি নিলামও করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে, অনিল অম্বানী ও তাঁর সংস্থার ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বকেয়া ঋণ রয়েছে যা ২০১০ সাল থেকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হয়েছিল। এক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আরেক ব্যাঙ্কের ঋণ মেটানো হয়েছে।
