
আমরোহ: পণের জন্য স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন। গ্রেটার নয়ডার নৃশংস এই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে পণের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার আরও একটি ঘটনা সামনে এল উত্তর প্রদেশে। ঘটনায় অভিযুক্ত একজন পুলিশ কনস্টেবল। ওই কনস্টেবল-সহ তাঁর পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অগ্নিদগ্ধ মহিলার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আমরোহ জেলার নারাঙ্গপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর বত্রিশের নির্যাতিতার নাম পারুল। তাঁর স্বামী দেবেন্দ্র উত্তর প্রদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল। ১৩ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি রামপুর থেকে বরেইলিতে ট্রান্সফার হয়েছে দেবেন্দ্রর। এখন তিনি ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য পারুলকে চাপ দিচ্ছিলেন দেবেন্দ্র ও তাঁর পরিবার। টাকা না আনাতেই ওই গৃহবধূকে দেবেন্দ্র ও অন্যরা পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পারুলের ভাই ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে দেবেন্দ্র, তাঁর মা ও আরও ৪ জন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পারুলের মা অনিতা বলেন, “মঙ্গলবার আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা আমাকে ঘটনাটি জানান। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি, আমার মেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন আমার মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গ্রেটার নয়ডায় নিক্কি ভাটি নামে এক গৃহবধূকে পণের জন্য জীবন্ত পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ৯ বছর আগে নিয়ে হয়েছিল নিক্কির। বিয়ের সময় গাড়ি, গয়না-সহ নানা সামগ্রী দেওয়ার পরও পণের দাবি জানাতে থাকেন নিক্কির স্বামী বিপিন ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ৩৬ লক্ষ টাকা নগদ চেয়েছিলেন। তা না পেয়েই নিক্কিকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।