AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Noida Dowry Death: স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়েও বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই বিপিনের, পুলিশের গুলি খেয়ে বলল, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটা তো হয়ই…’,

Noida Dowry Case: রবিবার, (২৪ অগস্ট) অভিযুক্ত বিপিন ভাটি পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। বিপিনের পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন। তবে তাঁর চোখে-মুখে নেই অনুতাপের লেশমাত্র।

Noida Dowry Death: স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়েও বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই বিপিনের, পুলিশের গুলি খেয়ে বলল, 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটা তো হয়ই...',
পণের জন্য স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা।Image Credit: X
| Updated on: Aug 25, 2025 | 7:22 AM
Share

নয়ডা: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও চলছে পণপ্রথা। বিয়ের ৯ বছর পর, সন্তান হয়ে যাওয়ার পরও শ্বশুরবাড়ির দাবি-দাওয়া কিছুতেই মিটছে না। সেই পণের দাবি পূরণ করতে অস্বীকার করাতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল বছর আঠাশের নিকি ভাটির। মারধর করে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেন নিকিকে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল। পুলিশ গ্রেফতার করেছে নিকির স্বামী, মূল অভিযুক্ত বিপিন ভাটিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মাকেও। স্ত্রীকে হত্যার পর বিপিনের মধ্যে কি একটুও অনুতাপ রয়েছে? তার চাঞ্চল্যকর বয়ান এল সামনে।

রবিবার, (২৪ অগস্ট) অভিযুক্ত বিপিন ভাটি পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। বিপিনের পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন। তবে তাঁর চোখে-মুখে নেই অনুতাপের লেশমাত্র।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা বিপিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে স্ত্রীকে খুন করায় তাঁর কোনও অনুতাপ হচ্ছে কি না।  উত্তরে বিপিন বলে, “আমার কোনও অনুতাপ নেই। আমি ওকে (নিকি) মারিনি। ও নিজেই মরে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা, ঝগড়া হয়ই…এটা খুব স্বাভাবিক।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে, বিপিন তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। যে সিসিটিভি ফুটেজগুলি পুলিশের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট ছিল নিকির গায়ে আঘাত ও রক্তের দাগ। পরের একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় নিকি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছে। দ্বগ্ধ অবস্থায় মেঝেতে বসে থাকতেও দেখা যায় তাঁকে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।

নিকি ও বিপিনের ছয় বছরের ছেলের বয়ানও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই শিশুও বয়ানে বলেছে, “প্রথমে ওরা মাম্মার গায়ে কিছু একটা ঢেলে দেয়। তারপর চড় মারে। এবং এরপর লাইটার দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়”। যখন প্রশ্ন করা হয় যে বাবাই মাকে মেরেছে কি না, মাথা নেড়ে সম্মতি দেয় মা হারানো শিশু।