লখনউ: উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদকে এনকাউন্টারে খতম করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। আতিক ও তাঁর ভাই রয়েছেন জেলে। উমেশ পাল খুনের পর থেকেই ছন্নছাড়া আতিকের পরিবার। তাঁর দুই ছেলে মহম্মদ উমর ও মহম্মদ আলি গত বছর থেকেই রয়েছেন জেলে। বৃহস্পতিবার আসাদের মৃত্যু হল। আতিকের বাকি দুই ছেলে নাবালক। তাদের নিরাপত্তার জন্য জুভেনাইল কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। উমেশ পাল খুনের ঘটনার পর থেকে আতিকের স্ত্রীও পলাতক। আসুন এক নজরে দেখে নিই, আতিক আহমেদের পরিবারের অবস্থা। তাঁদের নামে কী মামলা রয়েছে।
আতিক আহমেদ: কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের নামে ১০৪ট মামলা রয়েছে। ১৯৭৯ সালে তার নামে প্রথম মামলা রুজু হয়েছিল। তার নামে থাকা মোট মামলার ৫৪টি মামলার শুনানি চলছে। বিএসপি বিধায়র রাজু পাল খুনের প্রধান অভিযুক্ত সে। রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী উমেশ পাল খুনেও ষড়যন্ত্রী হিসাবে নাম রয়েছে তার।
আতিকের ভাই খালিদ আজিম ওরফে আসরফ: আসরফ আতিকের ছোট ভাই। বর্তমানে বরেলির জেল রয়েছে। ৫২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজু পাল খুনে সেও অন্যতম অভিযুক্ত।
মহম্মদ উমর: আতিক আহমেদের বড় ছেলে উমর। ব্যবসায়ী মোহিকত জয়সওয়ালকে অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে। ২০২২ সালের অগস্টে আত্মসমর্পণ করে সে। বর্তমানে লখনউ জেলে বন্দি সে।
মহম্মদ আলি: মহম্মদ আলি আতিকের মেজ ছেলে। তার নামমে ৬টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে সে প্রয়াগরাজের নাইনি জেলে বন্দি।
আসাদ আহমেদ: আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদ উমেশ পাল খুনের অন্যতম অভিযুক্ত। যদিও এর আগে কোনও মামলা ছিল না তার বিরুদ্ধে। উমেশ পাল খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। বৃহস্পতিবার পুলিশি এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়েছে।
মহম্মদ আঝাম ও মহম্মদ আবান: আতিকের এই দুই ছেলে নাবালক। উমেশ পাল খুনের পর থেকে প্রাণ সংশয় হয়েছিল ২ জনের। তাদের নিরাপত্তার জন্য আতিকের স্ত্রী আবেদন করেছিল আদালতে। এর পর ২ জনকে জুভেনাইল শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে।
শায়িস্তা পারভিন: শায়িস্তা আতিকের স্ত্রী। উমেশ পাল খুনে তার নামেও অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। উমেশ খুনে আততীয় খুনের আগে শায়িস্তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের। উমেশ খুনের পর থেকেই পলাতক সে।
আয়েশা নুরি: আতিক আহমেদের বোন আয়েশা। উমেশ মৃত্যুর পর আতিকের পরিবারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত মামলা দায়েরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে করেছিলেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে আগ্রায় থাকে সে। আয়েশা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে বলে জানা গিয়েছে।