মুম্বই: ঝড়বৃষ্টির দাপট কমলেও, যতদিন গড়চ্ছে, ততই উদ্ধার হচ্ছে কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ। বিগত এক সপ্তাহের বন্যা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি পার করেছে। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য। এরইমধ্যে কোয়েনা বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ফের একবার প্লাবিত হয়েছে একাধিক জেলা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে মহারাষ্ট্রের জন্য স্বস্তির খবর শোনালেও বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও এখনই বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না প্রশাসন। বৃষ্টির জেরে আলগা হয়ে যাওয়া মাটি থেকে ফের ভূমিধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যে বৃষ্টি ও ভূমিধসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দু’দিনেই দাঁড়িয়েছে ২০৭-এ। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে রায়গঢ় জেলাই, কেবল সেখানেই ভূমিধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাতারাতেও ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। রত্নগিরিতে ৩৫ জনের, থানেতে ১২ জন, মুম্বইয়ে ৪ জন, পুণেতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম ঘাট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে আশেপাশের নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জেরে সাতারা, সাঙ্গলি ও কোলাপুরের একাধিক অংশ প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্য়েই এনডিআরএফের সাহায্যে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ৩ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ২ লক্ষের বেশি মানুষ সাঙ্গলি জেলার বাসিন্দা।
মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও মৃতের সংখ্যা বেশি না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। এখনও একাধিক রাস্তা, বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। বিপর্যস্ত হয়েছিল লোকাল ও দূরপাল্লার রেল পরিষেবাও। ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি’, দৈনিক ১০ হাজার আক্রান্ত নিয়ে মুখ খুলল পিনারাই সরকার