Delhi Red Fort Blast: পোস্টার থেকে শুরু, দিল্লি বিস্ফোরণের একমাস আগে থেকে যা চলছিল…

Delhi Red Fort Blast: অভিযানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, দু'জন ডাক্তার ছাড়াও এই মডিউলের বাকি সদস্যরা এনক্রিপটেড চ্যানেল ব্যবহার করে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন। চ্যারিটেবল কাজের আড়ালে ফান্ড তোলার কাজে যুক্ত আছেন ডাক্তার এবং বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রফেশনালরা।

Delhi Red Fort Blast: পোস্টার থেকে শুরু, দিল্লি বিস্ফোরণের একমাস আগে থেকে যা চলছিল...
Image Credit source: PTI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 11, 2025 | 12:26 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে দিল্লি। কারণটা নিশ্চিত না হলেও নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। কোনও সম্ভাবনাই যে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, সে কথা বলেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে গত কয়েকদিনের ঘটনা গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে।

গত ১৯ অক্টোবর জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে কাশ্মীর শহর সংলগ্ন নওগ্রাম এলাকায় একাধিক পোস্টার দেখা যায়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি, তদন্ত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডক্টর আদিল মজিদ রাদারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক, অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করে তদন্তকারীরা।

এরপর সেই সূত্র ধরে পুলওয়ামার বাসিন্দা, হরিয়ানার ফরিদাবাদে বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডক্টর মুজাম্মিল আহমেদ গানাইয়ের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন আল ফালহা স্কুল অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের এমার্জেন্সি বিভাগে কাজ করতেন তিনি। গত ৯ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ফরিদাবাদের ধৌজে তাঁর ভাড়া করা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ধৌজে গ্রামের এক মসজিদের মৌলানাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাকরি ছাড়ার পরও সরকারি হাসপাতালের ডক্টরস লকার কীভাবে রাদারের দখলে ছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। একই সময় কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, গান্ডেরওয়াল, সোপিয়ান এবং উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় অভিযান শুরু করে তদন্তকারীরা।

অভিযানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, দু’জন ডাক্তার ছাড়াও এই মডিউলের বাকি সদস্যরা এনক্রিপটেড চ্যানেল ব্যবহার করে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন। চ্যারিটেবল কাজের আড়ালে ফান্ড তোলার কাজে যুক্ত আছেন ডাক্তার এবং বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক প্রফেশনালরা। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে মোট সাতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।